ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

চিকিৎসা খরচের কারণে লাশ জিম্মি রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

চিকিৎসা খরচের কারণে লাশ জিম্মি রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৭ | ০৯:৫৬

চিকিৎসা খরচ পরিশোধজনিত ব্যর্থতার কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া  ব্যক্তির লাশ কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতাল জিম্মি করে রাখতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অসচ্ছল রোগীদের বিল পরিশোধে তহবিল গঠনে স্বাস্থ্য সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন। রায়ে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

'নবজাতকের লাশ হাসপাতালে রেখে চলে গেলেন বাবা-মা' শিরোনামে ২০১২ সালের ১০ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। চিকিৎসা খরচ পরিশোধ করতে না পারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ হস্তান্তরের অস্বীকৃতি জানায় বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এটি যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ওই বছর জুনে একটি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সে বছরের ১৪ জুন হাইকোর্ট রুল দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত সোমবার এ রায় দেন। 

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরেসদ। সিটি হাসপাতালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাবিল আহসান। 

আদালত লাইসেন্স করা সব ক্লিনিক ও হাসপাতালকে এ নির্দেশনা অবহিত করতে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটি সাকুর্লার জারি করতে বলেছেন। একই সঙ্গে ২০১২ সালের ৮ জুন সিটি হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর পর অভিভাবকের কাছে দ্রুত লাশ হস্তান্তরে ব্যর্থতার বিষয়টি অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রায়ে সিটি হাসপাতালের প্রতি আঞ্জুমান মফিদুলকে ৫ হাজার টাকা দান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১২ সালে এক অস্বচ্চল ব্যক্তি তার সন্তানকে মোহাম্মদপুরে সিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির সময়ই তিনি ১৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন। কয়েক দিন চিকিৎসার পর ওই নবজাতকের মৃত্যু হলে আরও ২৬ হাজার টাকা বিল পরিশোধের কথা বলা হয়। শিশুটির বাবা এই টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক ও মানবাধিকারের 
চরম লঙ্ঘন বলে শুনানিতে উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন

×