ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

সাক্ষাৎকারে বেনজীর আহমেদ

প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে যাবে র‌্যাব

প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে যাবে র‌্যাব

সাহাদাত হোসেন পরশ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০১৮ | ২১:২৭

র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, গুলশানে হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার পর র‌্যাব তার সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। বাহিনীতে যুক্ত করেছে নতুন নতুন সরঞ্জাম। স্পেন থেকে আনা হয়েছে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ডিসপোজাল রেসপন্স ভেহিক্যাল। এতে রয়েছে স্যাটেলাইট ফোন, আইইডি ও ইওডি জ্যামার, যা নেটওয়ার্কের আওতাধীন থাকলে জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের রিমোট কন্ট্রোল বোমা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে। গোয়েন্দা তথ্য রাখা ও তদন্তে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে র‌্যাব প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করে এলিট ফোর্স হিসেবে জনপ্রত্যাশা পূরণে আরও এগিয়ে যাবে। র‌্যাব সদর দপ্তরে সমকালের কাছে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। 


সমকাল :র‌্যাবের আভিযানিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক কী কী সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে? 

বেনজীর আহমেদ :জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন অভিযানে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য র‌্যাবের প্রযুক্তিগত যানবাহনের বহরে যুক্ত হয়েছে ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ডিসপোজাল  রেসপন্স ভেহিক্যাল। যে কোনো অভিযান চলাকালীন জঙ্গিদের আস্তানা অথবা অন্য কোনো স্থানে প্রাপ্ত আইইডি জনসমাগম থেকে নিরাপদ দূরত্বে নিষ্ফ্ক্রিয়করণে বহনের জন্য এই যানবাহন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি মূলত র‌্যাবের বোমা নিষ্ফ্ক্রিয়করণ ইউনিটের 'কমান্ড ভেহিক্যাল' হিসেবে কাজ করবে। যানবাহনটি ব্যবহারে মূল অভিযান নিরাপদে পরিচালনা ও অভিযান-পরবর্তী প্রাপ্ত ঝুঁকিপূর্ণ আইইডিগুলো নিরাপদে দ্রুত স্থানান্তর ও নিষ্ফ্ক্রিয়করণের মাধ্যমে অভিযান এলাকার সামগ্রিক নিরাপত্তা দ্রুত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এছাড়া বোমা নিষ্ফ্ক্রিয়করণ ইউনিট অভিযানস্থলে যেসব আইইডি উদ্ধার করে সেগুলো প্রাথমিকভাবে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি এ গাড়িতে বহন করা সম্ভব। গাড়িটির সাসপেনসন সিস্টেমের হাইড্রোলিক সিস্টেম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। গাড়িতে সংযোজিত বিভিন্ন উন্নত সংবেদনশীল প্রযুক্তিনির্ভর ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি (সেন্সর এবং ওয়েব যুক্ত) বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ক্ষয়ক্ষতি থেকে এটিকে রক্ষা করতে পারবে। 


সমকাল :বিশেষ এই যানবাহনে আর কী কী রয়েছে? 

বেনজীর আহমেদ :বিশেষ এ যানবাহনটি স্পেন থেকে আনা হয়েছে। অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি সংযোজনের মাধ্যমে এতে একটি বহুমুখী স্পর্শকাতর ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা নিষ্ফ্ক্রিয়করণ স্টেশন হিসেবে কাজ করবে। এতে সংযোজিত সরঞ্জামে মধ্যে রয়েছে জীবন্ত বোমা বহনকারী কনটেইনার, আইইডি ও ইওডি জ্যামার, থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা, স্যাটেলাইট ফোন, সিসিটিভি ক্যামেরা, পোর্টেবল এক্সপ্লোসিভ ডিটেক্টর, জিপিএস সিস্টেম ও পোর্টেবল পাওয়ার জেনারেটর। 


সমকাল :আইইডি ডিসপোজাল রেসপন্স ভেহিক্যাল সংযোজনের মধ্য দিয়ে র‌্যাব জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের কী ধরনের বার্তা দিতে চায়? 

বেনজীর আহমেদ :বিশেষ এই যানবাহনে জীবন্ত বোমা বহনকারী কনটেইনারের মাধ্যমে যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ আইইডি নিরাপদে ঘটনাস্থল থেকে নিষ্ফ্ক্রিয়করণ এলাকায় নেওয়া সম্ভব। বহনকালীন যদি আইইডি বিস্ম্ফোরিত হয় তাহলে কনটেইনার বা গাড়ির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না। এমনকি বিস্ম্ফোরণের পর তা থেকে নির্গত গ্যাস এক্সপ্লোসিভ এনলাইজারের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই আইইডি তৈরিতে ব্যবহূত উপাদান সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। আইইডি বা ইওডি জ্যামারের মাধ্যমে মূল আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা অথবা বোমা নিষ্ফ্ক্রিয়করণ ইউনিটের মাধ্যমে আইইডি/ইওডি নিষ্ফ্ক্রিয়করণের সময়ে দূর থেকে অজ্ঞাত কোনো জঙ্গি সদস্য রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে যে কোনো ফ্রিকোয়েন্সির নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। 


সমকাল :এ যানবাহনে ভবিষ্যতে আরও কিছু সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে? 

বেনজীর আহমেদ :থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরার মাধ্যমে গাড়িতে বসেই ঘন কুয়াশা, ধোঁয়া বা টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ার মধ্যেও সহজে যে কোনো টার্গেটকে শনাক্ত করা যাবে। স্যাটেলাইট ফোন নিশ্চিত করবে জরুরি সময়ে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ মাধ্যম। এই যানবাহনটির বহির্বিভাগে ৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, যা মাটি থেকে ২৩ ফুট উচ্চতায় স্থাপিত। এর মাধ্যমে গাড়ির ভেতরে বসেই চারপাশের সবকিছু দেখা ও ভিডিও ধারণ করার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। এছাড়া গাড়িতে ওঠানামা করার সময় যাতে সরঞ্জামের কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য আছে স্বয়ংক্রিয় সিঁড়ি। খুব শিগগিরই এ যানবাহনে যুক্ত হবে রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল (আরওভি)। 


সমকাল :অপারেশনের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারে সবচেয়ে বড় সুবিধা কী? 

বেনজীর আহমেদ :আইইডি রেসপন্স ভেহিক্যাল সংযোজনের কারণে বোমা নিষ্ফ্ক্রিয়করণ ইউনিটের জন্য 'রেডি টু গো' সক্ষমতা বেড়েছে। বোমা শনাক্তকরণ ও নিষ্ফ্ক্রিয়করণ সরঞ্জাম ও বোমা ডিসপোজাল স্যুটসহ সব উপকরণ গাড়ির ভেতরে আগে থেকেই সুরক্ষিত থাকার ব্যবস্থা থাকায় দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব। সামগ্রিকভাবে এই যানটি র‌্যাবের বোমা নিষ্ফ্ক্রিয়করণ ইউনিটের কর্মপরিধিকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও বেগবান করবে। ফলে এই ইউনিট আরও আধুনিক হওয়ার পাশাপাশি নিজ কর্মক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সফলভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সম্পন্ন করা সক্ষম হবে র‌্যাব। 


সমকাল :নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ক্ষেত্রে র‌্যাব কী ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করছে? 

বেনজীর আহমেদ :নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপরিহার্য অঙ্গ। র‌্যাবের আগের ভিএইচএফ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অ্যানালগ এবং সময় অনুপযোগী। এটা ১৪ বছরের পুরনো ব্যবস্থা। তিনটি রিপিটারের বেশি ইন্টারকানেক্ট করা যেত না। এতে র‌্যাবের একেকটি ব্যাটালিয়ন একাধিক নেটওয়ার্কে বিভক্ত ছিল। তাছাড়া একেকটি নেটওয়ার্কে একই সময়ে একজনের বেশি কথা বলতে পারত না। এসব সমস্যা বিবেচনায় ডিজিটাল ডিএমআর টায়ার-৩ ভিএইচএফ ট্র্যাকিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। যার আওতায় বর্তমানে র‌্যাবের ৮টি ব্যাটালিয়নের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে র‌্যাবের অন্যান্য ব্যাটালিয়নকে এ নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। এ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হলে র‌্যাবের সদস্যরা দেশের যে কোনো প্রান্তে বসে একে অপরের সঙ্গে বিশেষ সেটের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে। এ ধরনের যোগাযোগ পদ্ধতি সম্পূর্ণ নিরাপদ। এছাড়া এ ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশে প্রথম র‌্যাবই ব্যবহার করতে যাচ্ছে। এছাড়া তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে র‌্যাব তার নিজস্ব গোয়েন্দা ও অপারেশনাল কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পন্ন করে থাকে। র‌্যাব তার অপারেশনাল, গোয়েন্দা, প্রশাসনিক ও তদন্ত কার্যক্রম আরও বেগবান ও কার্যকর করার লক্ষ্যে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে বাহিনীতে অত্যাধুনিক তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযোজন করছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে সীমিত আকারে র‌্যাব স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সংযোজন করেছে। তাৎক্ষণিক ভিডিওচিত্র পেতে ড্রোন ব্যবহার করছে। 


সমকাল :শুনেছি অপারেশন তদারকিতে আপনারা ভিডিও ব্যাকপ্যাক সিস্টেম সংযোজন করেছেন। এ সম্পর্কে কিছু বলুন। 

বেনজীর আহমেদ :অনেক সময় জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে কেন্দ্রীয় কমান্ডের নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কিন্তু সব সময় কেন্দ্রীয় কমান্ডের অভিযানস্থলে পৌঁছা সম্ভব হয় না। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এমন গুরুত্বপূর্ণ অভিযান যাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারেন, সে লক্ষ্যে এয়ার উইংয়ের তত্ত্বাবধানে ভিডিও ব্যাকপ্যাক সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অভিযান র‌্যাব সদর দপ্তরে সরাসরি টেলিকাস্ট করা সম্ভব। র‌্যাবের ফোর্সের যোগাযোগ ব্যবস্থা যুগোপযোগী ও আধুনিক করার লক্ষ্যে সদর দপ্তরে একটি সেন্ট্রাল ডিজিটাল পিএবিএক্স স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি র‌্যাব ব্যাটালিয়নে একটি নোট এক্সচেঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে। ওই এক্সচেঞ্জ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাটালিয়নের সঙ্গে সিপিসিগুলোর সার্বিক যোগাযোগ স্থাপন আগের তুলনায় অনেক সহজতর হয়েছে। 


সমকাল :তদন্তে এখন ফরেনসিক পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে র‌্যাব কী ভাবছে?

বেনজীর আহমেদ :তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক সক্ষমতা বাড়িয়েছে র‌্যাব। আইইডি, খাদ্যদ্রব্য, বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট, মুদ্রা ও ভিসা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। র‌্যাবের আধুনিকায়নে আরও যেসব যুক্ত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বর্ডি আর্মার। হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার তিন মাসের মধ্যে র‌্যাবে তা যুক্ত হয়। আভিযানিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় র‌্যাব স্পেশাল ভেহিক্যাল তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এপিসি সংযোজনের পরিকল্পনা আছে। নৌপথে বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় আভিযানিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বাড়াতে ৪টি জলযান সংযোজন করা হয়েছে। 


সমকাল :র‌্যাব অনেক জঙ্গিকে সুপথে ফেরার সুযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? 

বেনজীর আহমেদ :আমরা মনে করি শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্য দিয়ে জঙ্গি সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যেসব সাধারণ মানুষ ধর্মকে ভালোবেসে না বুঝে জঙ্গিবাদের পথে পা বাড়িয়েছে তাদের ডি-র‌্যাডিকালাইজেশনের আওতায় আনতে হবে। এ পর্যন্ত ৭ জঙ্গি র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। যেটা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। 


সমকাল :র‌্যাবের নতুন ব্যাটালিয়ন তৈরির প্রস্তাবনা আছে কি? 

বেনজীর আহমেদ :দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরও দুটি ও পূর্বাঞ্চলে আরও একটি ব্যাটালিয়নের প্রস্তাবনা রয়েছে। সারাদেশে র‌্যাবের জনবল ১১ হাজার। সংখ্যা কম হওয়ায় গুণগত সেবা দিয়ে জন প্রত্যাশা পূরণ করছে র‌্যাব। এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাবের কাছে জনপ্রত্যাশাও আকাশসম। অপরাধীরা এখন অনেক প্রযুক্তিনির্ভর। তাই র‌্যাব প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির নিরলস চেষ্টা করছে। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করাই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। সেটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রস্তুত র‌্যাবও। আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাইবার জগৎ তদারকিতে আমাদের সামর্থ্য ছিল না। এখন সীমিত আকারে হলেও আমাদের সেই সামর্থ্য তৈরি হয়েছে। জঙ্গিরা অতিমাত্রায় ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখে। গোয়েন্দা তথ্য রাখা ও তদন্তের জন্য অনেক সময়ই ইলেকট্রনিক ফরেনসিক সক্ষমতা বাড়ানোর দরকার হয়। সেখানেও সক্ষমতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। 

আরও পড়ুন

×