ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

সিটি ভোটের প্রচারে নামছেন এমপিরা

সিটি ভোটের প্রচারে নামছেন এমপিরা

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০১৮ | ১৭:০০ | আপডেট: ২৪ মে ২০১৮ | ১৯:৪৫

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে সায় দিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন ইসি। বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, পাঁচ সদস্যের কমিশনের অন্যতম কমিশনার মাহবুব তালুকদার এতে আপত্তি জানিয়েছেন। 

প্রচারে এমপিদের নামার সুযোগসহ বিদ্যমান আচরণবিধিতে ১১টি সংশোধনী আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। তবে ইসির পুনর্নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারে এমপিরা নামার সুযোগ পাবেন কি-না তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমপিদের প্রচারে নামার সুযোগ দেওয়া হলেও স্থানীয় সরকারের অন্য স্তরগুলোতে (উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে) তারা নিষিদ্ধই থাকছেন। 

এদিকে কমিশনের এ সিদ্ধান্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তার মতে, সংসদ সদস্যরা স্থানীয়ভাবে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি অনেক বেশি। এ রকম ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা যদি স্থানীয় নির্বাচনে বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নামেন, তখন অন্য প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, কমিশনের এ সিদ্ধান্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। 

সিটি ভোটের প্রচারে এমপিদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে বলতে গিয়ে ইসি সচিব বলেন, সংসদ সদস্য প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত না থাকায় সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সংজ্ঞা থেকে ‘সংসদ সদস্য’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে। সংসদ সদস্যরা প্রচারে অংশ নিতে পারবেন। তবে কোনো প্রার্থী বা সংসদ সদস্য বা নির্বাচনী এজেন্ট সার্কিট হাউসে থাকতে পারবেন না। 

সংশোধিত আচরণবিধি গাজীপুরে প্রয়োগ হবে কি-না- এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, কমিশন সভায় মাত্র অনুমোদন হয়েছে। এখন ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে। গাজীপুরের ভোটে এমপিদের এ সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

হেলালুদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন অনুসন্ধান করে দেখেছে, সংসদ সদস্যরা কোনো লাভজনক পদে নেই। তাদের কার্যালয় নেই, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন না, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। যেহেতু তারা লাভজনক পদে নেই, তাই অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে তাদের চিহ্নিত করা হয়নি।

এদিকে আচরণবিধির অন্য সংশোধনীগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণ বিধিমালার ১১টি বিষয়ের ওপরে সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বিদ্যমান বিধিতে পোস্টার সাঁটিয়ে ব্যবহার করার সুযোগ থাকলেও সংশোধিত বিধিতে লাগানো অর্থ পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া; টাঙিয়ে দেওয়া বা স্থাপন করা যাবে। অর্থাৎ দেয়াল বা গাছ বা কোনোকিছুর সঙ্গে সাঁটিয়ে দেওয়া যাবে না। 

আরও পড়ুন

×