ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ময়মনসিংহে আজাদ হত্যা

মামলা গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের

মামলা গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের

'অভিযুক্ত ধর্মমন্ত্রীর ছেলে, তাই মামলা নিচ্ছে না পুলিশ' শিরোনামে গত ১২ আগস্ট সমকালের প্রথম পাতায় সংবাদ প্রকাশিত হয়

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০১৮ | ১৪:৪০

ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ আলম শেখ আজাদ হত্যা মামলার এজাহার গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলা না নেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্নিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন আদালত।

বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

'অভিযুক্ত ধর্মমন্ত্রীর ছেলে, তাই মামলা নিচ্ছে না পুলিশ' শিরোনামে গত ১২ আগস্ট সমকালের প্রথম পাতায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর প্রয়াত যুবলীগ নেতা শেখ আজাদের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার দিলুর পক্ষে রিট করেন আইনজীবী আফিল উদ্দিন। রিট আবেদনে সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে আদালতে দাখিল করা হয়। রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী মাক্তিয়া ফাতেমা ইসলাম ও কামালউদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।

জেড আই খান পান্না সমকালকে বলেন, আদালত হত্যার অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই ময়মনসিংহের আকুয়ার নাজিরবাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আজাদ। তাকে গুলি, গলা কেটে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতের মা ও স্ত্রীর অভিযোগ, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান ও ধর্মমন্ত্রীর ভাতিজা মন্তু বাবুর নির্দেশে আজাদকে হত্যা করা হয়েছে।

হত্যার দুই দিন পর গত ২ আগস্ট ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন নিহত আজাদের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার দিলু। মোহিত উর রহমান শান্তসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। কিন্তু এক মাসেও এজাহার নথিভুক্ত করেনি পুলিশ। দিলরুবা আক্তার দিলুর অভিযোগ, মন্ত্রীর ছেলেকে আসামি করায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। তার স্বামীর হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

আরও পড়ুন

×