ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

নির্বাচনে দায়িত্ব পেলে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান

নির্বাচনে দায়িত্ব পেলে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান

রোববার দুপুরে সাভার সেনানিবাসের সিএমপিসিঅ্যান্ডএসের প্যারেড গ্রাউন্ডে অ্যাডহক ১১ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টকে (মেকানাইজড) রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজি

 নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ১৬:৩৪

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, 'আগামী মাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সেনাবাহিনীকে সম্ভবত নিয়োগ করা হবে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হলে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে সেনাবাহিনী। আমরা অতীতেও এই দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে সেই দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করব।'

রোববার দুপুরে সাভার সেনানিবাসের সিএমপিসিঅ্যান্ডএসের প্যারেড গ্রাউন্ডে অ্যাডহক ১১ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টকে (মেকানাইজড) রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, 'দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নির্বাচন কমিশনের যে কোনো নির্দেশ পালনে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশনের সব নির্দেশনা পালনের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে- সেনাপ্রধান হিসেবে এটা আমার নির্দেশ।'

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব দরবারে উন্নয়নশীল দেশের যে স্ট্যাটাস আমরা পেয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের আর্থসামাজিক, শিক্ষা, অবকাঠামোসহ সব ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে, তা ধরে রাখতে হবে। আর এ অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে পারলে ২০২৪ সাল নাগাদ উন্নয়নশীল দেশের স্ট্যাটাস স্থায়ী হবে। তাই দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি রক্ষার যদি কোনো দায়িত্ব পালন করতে হয়, সেনাবাহিনী তা করবে। এজন্য দেশ ও জনগণের স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সেনা সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

সৈনিকদের উদ্দেশে জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। ২০২১ সালের রূপকল্পের ধারাবাহিকতায় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফোর্সেস গোল্ড ২০৩০-এর আলোকে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে নিয়মিত, ডিভিশন সাপোর্ট, মেকানাইজড ও প্যারা- এই চার প্রকারের পদাতিক ব্যাটালিয়ন প্রচলিত রয়েছে। এ ছাড়া গত ৮ থেকে ৯ বছরে সমরাস্ত্রসহ আরও নতুন তিনটি ডিভিশন সংযোজন হওয়া বিরল ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান।

এ সময় প্যারেড গ্রাউন্ডে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে প্রধান অতিথি সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানান প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররা, জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা, নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সাভার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. আকবর হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, পৌর মেয়র হাজী আবদুল গনি ও জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপর সেনাপ্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে সাভার ডিওএইচএসের ভেতরে সেনা স্কুল ও কলেজ, লেক-১ ও লেক-২ এবং কেন্দ্রীয় মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি ডিওএইচএসে একটি বকুল ফুলের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেনা শপিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া পাথালিয়া ইউনিয়নের খেজুরটেক এলাকায় সেনা রেসিডেনসিয়াল এরিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ১৯৯৯ সালে সেনাবাহিনীর কলেবর বৃদ্ধিসহ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাশাপাশি দ্বিতীয় পদাতিক রেজিমেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

আরও পড়ুন

×