ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ফরিদপুর-১

কার মুখে ফুটবে শেষ হাসি

কার মুখে ফুটবে শেষ হাসি

হাসানউজ্জামান, ফরিদপুর ও কাজী আমিনুল ইসলাম, বোয়ালমারী

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ | ০৪:৩৯

ফরিদপুর-১ (মধুখালী-আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী) আসন থেকে এবার আওয়ামী লীগের রেকর্ডসংখ্যক ২২ মনোনয়নপ্রত্যাশী মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে কে হবেন নৌকার মাঝি- তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। অবশ্য ঘুরেফিরে ৫-৬ জনের নাম এলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন কে পাচ্ছেন, তা জানতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ২২ জনের মধ্যে ২০ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন বর্তমান এমপি ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেন বুলবুল, হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীলিপ রায়, ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ কবিরুল আলম, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম জালাল উদ্দিন, দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি লায়ন মো. শাখাওয়াত হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, তিতাস গ্যাস লিমিটেডের পরিচালক ও ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমএ কামরুল হাসান খান আসলাম, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল, শ্রমিক নেতা খান সিরাজ, মেগচামী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা খুরশীদুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ালিদ হাসান মামুন, মাজহারুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম।

এ আসনে বর্তমান এমপি  আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে চার মনোনয়নপ্রত্যাশী একজোট হয়েছেন। তারা নৌকার বিজয় ধরে রাখতে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছেন। তবে আবদুর রহমানের সমর্থকরা বলছেন বর্তমান এমপিই হবেন নৌকার মাঝি। তিনি এলাকায় যে উন্নয়ন করেছেন, এ জন্য তাকে আবারও এমপি হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানায়, মনোনয়নপ্রাপ্তির দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে আছেন সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলাম। কারণ ভোটারদের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। দু'বারের এমপি থাকাকালে তিনি ব্যাপক উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। কাজী সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও আলোচনায় আছেন আরিফুর রহমান দোলন। চক্ষুশিবির, চিকিৎসা ক্যাম্পসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড করে তিন উপজেলার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন দোলন। তিন উপজেলার অনেক চেয়ারম্যানসহ দলের একটি বড় অংশের সমর্থন রয়েছে তার প্রতি।

এ তিন নেতা আলোচনায় এলেও উল্লিখিত অন্যান্য নেতাও মনোনয়ন পেতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে দলীয়প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হয়েছে। তবে ফরিদপুর-১ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাকে মনোনয়ন দেবেন, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে বিএনপির সাতজন ফরিদপুর-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনিবাহী সদস্য ও সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা শাহ্‌ মো. আবু জাফর, সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মৃধা মনির, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শরিফুল ইসলাম, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান ঝুনু, হাসান সালেহ প্রিন্স ও হাবিবুর রহমান দিপু।

জাতীয় পার্টি (এ) থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাপার কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খান ও নির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান মৃধা।

আরও পড়ুন

×