ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

১৫৩ আসনে জয়ী যারা

১৫৩ আসনে জয়ী যারা

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০১৪ | ১৩:৫৪ | আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৪ | ১৪:০২


দশম সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ নির্বাচনে নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটের কেউ অংশ নেয়নি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে অনড় রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। তাদের ডাকা হরতাল ও অবরোধের মধ্যেই ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দশম সংসদ নির্বাচন।


 


ইসির হিসাব অনুযায়ী, দশম সংসদে আওয়ামী লীগের ১২৭, জাতীয় পার্টি ২০, জাসদ ৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ২ ও জেপির ১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।


 


এর আগে ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ৪৯ প্রার্থী। ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচন তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টি ও জামায়াত বর্জন করেছিল।


 


এছাড়া ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির বাতিল হওয়া নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ২৩ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। অষ্টম সংসদের ওই নির্বাচিতরা আর শপথ গ্রহণের সুযোগ পাননি। বহুল আলোচিত ১/১১-এর মাধ্যমে সেনাসমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই নির্বাচন বাতিল করা হয়।


 



সারাদেশের ৯ কোটি ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ১০৬ ভোটারের মধ্যে এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন মাত্র ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন। ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছেন ১২টি রাজনৈতিক দলের ৩৯০ প্রার্থী।




 


এর আগে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সময় ১১ জন, ১৯৭৯ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময়ে ১১ জন, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়ে ১৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে একজন প্রার্থীও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হননি।


 


ইসির তালিকা অনুযায়ী যেসব আসনে একমাত্র বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন-


 


আওয়ামী লীগের ১২৭ জন: ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আলহাজ মো. দবিরুল ইসলাম, দিনাজপুর-২ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর, লালমনিরহাট-২ নূরুজ্জামান আহমেদ, রংপুর-২ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, রংপুর-৫ এইচ এন আশিকুর রহমান, গাইবান্ধা-৫ মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, জয়পুরহাট-১ শামসুল আলম দুদু, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-১ আবদুল মান্নান, বগুড়া-৫ মো. হাবিবর রহমান।


 


চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ মো. গোলাম রব্বানী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ মো. আবদুল ওদুদ, নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৬ ইসরাফিল আলম, রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৪ এনামুল হক, রাজশাহী-৫ মো. আবদুল ওয়াদুদ, নাটোর-১ আবুল কালাম, নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৪ মো. আবদুল কুদ্দুস, সিরাজগঞ্জ-১ মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-২ মো. হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জ-৩ মো. ইসহাক হোসেন তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম, সিরাজগঞ্জ-৬ মো. হাসিবুর রহমান স্বপন, পাবনা-২ খন্দকার আজিজুল হক আরজু, পাবনা-৪ শামসুর রহমান শরীফ, পাবনা-৫ গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স।


 



ভোটকেন্দ্র ১৮ হাজার ২০৮টি; ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ২১৩টি। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ৫৯ জন, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ২৮৭ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ১৮ হাজার ২০৮ জন; সহকারী প্রিসাইডিং ৯১ হাজার ২১৩ ও পোলিং অফিসার ১ লাখ ৮২ হাজার ৪২৬ জন দায়িত্ব পালন করবেন।




 


যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, নড়াইল-১ মো. কবিরুল হক, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাট-৩ তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-৪ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, খুলানা-৫ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ শেখ মো. নুরুল হক, সাতক্ষীরা-৩ আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-৪ এস এম জগলুল হায়দার।


 


পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৪ মো. মাহবুবুর রহমান, ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-৫ মো. শওকত হোসেন হিরন, বরিশাল-৬ আবদুল হাফিজ মল্লিক, ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু, পিরোজপুর-১ এ কে এম আবদুল আউয়াল (সাইদুর রহমান)।


 


টাঙ্গাইল-১ মো. আবদুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-৩ আমানুর রহমান খান রানা, টাঙ্গাইল-৪ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৭ মো. একাব্বর হোসেন, টাঙ্গাইল-৮ শওকত মোমেন শাহজাহান, জামালপুর-৩ মির্জা আজম, ময়মনসিংহ-১ প্রমোদ মানকিন, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমদ, ময়মনসিংহ-৯ আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন, নেত্রকোনা-৪ রেবেকা মোমিন, নেত্রকোনা-৫ ওয়ারেসাত হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-২ মো. সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৪ রেজোয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান, মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক, মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃণাল কান্তি দাস।


 



নির্বাচনে ১২ দল



ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৩টি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ১২টি দল। দলগুলো হচ্ছে- আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির (জাপা), জাতীয় পার্টির (জেপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ), ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনএফ, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।




 


ঢাকা-২ মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১১ এ কে এম রহমত উল্লাহ, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ মো. আসলামুল হক, ঢাকা-১৯ ডা. মো. এনামুর রহমান, ঢাকা-২০ এম এ মালেক।


 


গাজীপুর-১ আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ অ্যাডভোকেট রহমত আলী, গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ চুমকী, নরসিংদী-৪ নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, নরসিংদী-৫ রাজিউদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ-২ মো. নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ এ কে এম শামীম ওসমান, রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ মো. জিল্লুল হাকিম, ফরিদপুর-১ আবদুর রহমান, ফরিদপুর-২ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, মাদারীপুর-২ শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শরীয়তপুর-১ বি এম মোজাম্মেল হক, শরীয়তপুর-২ শওকত আলী, শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক।


 


সুনামগঞ্জ-২ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সিলেট-১ আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিলেট-৩ মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী, সিলেট-৬ নুরুল ইসলাম নাহিদ, মৌলভীবাজার-৩ সৈয়দ মহসিন আলী, মৌলভীবাজার-৪ মো. আবদুস শহীদ।


 


ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ এ বি তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-৭ অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, কুমিল্লা-১০ আ হ ম মোস্তফা কামাল লোটাস, কুমিল্লা-১১ মজিবুল হক, চাঁদপুর-১ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, চাঁদপুর-৩ ডা. দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ ড. মো. শামসুল হক ভূঁইয়া, চাঁদপুর-৫ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, ফেনী-২ নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-১ এইচ এম ইব্রাহিম, নোয়াখালী-২ মোর্শেদ আলম, নোয়াখালী-৩ মামুনুর রশীদ কিরণ, নোয়াখালী-৪ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের, লক্ষ্মীপুর-৩ এ কে এম শাহজাহান কামাল।


 


চট্টগ্রাম-১ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৬ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-১০ আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম-১৪ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার-২ আশেকুল্লাহ রফিক ও কক্সবাজার-৩ সাইমুম সরওয়ার কমল।


 



কোন দলের কত প্রার্থী



আওয়ামী লীগের ১২০ জন, জাতীয় পার্টির (জাপা) ৬৫, জাতীয় পার্টির (জেপি) ২৭, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ২১, ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬, বিএনএফের ২২, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ৬, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের ৩, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ২ এবং গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও গণতন্ত্রী পার্টির এক জন করে প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।



 




জাপা র ২০ জন: কুড়িগ্রাম-২ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-৩ এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, বগুড়া-২ শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ নজরুল ইসলাম তালুকদার, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না, ময়মনসিংহ-৪ রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৫ সালাহউদ্দিন আহমেদ (মুক্তি), নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ নাসিম ওসমান, সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান, সিলেট-৫ সেলিম উদ্দিন, হবিগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আবদুল মুনিম চৌধুরী, কুমিল্লা-২ মো. আমীর হোসেন, লক্ষ্মীপুর-২ মো. নোমান ও চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং কক্সবাজার-১ মোহাম্মদ ইলিয়াছ, নীলফামারী-৪ আসনের মো. শওকত চৌধুরী, রংপুর-১ আসনের মসিউর রহমান রাঙ্গা, ময়মনসিংহ-৮ আসনের ফখরুল ইমাম।


 


জাসদের ৩ জন: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে, মইনউদ্দীন খান বাদল চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে এবং ফেনী-১ আসন থেকে শিরীন আখতার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।


 


জাতীয় পার্টি (জেপি): জাতীয় পার্টি (জেপি) থেকে দলের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।


 


ওয়ার্কার্স পার্টির ২ জন: এ ছাড়া ঢাকা-৮ আসন থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও রাজশাহী-২ আসন থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত ফজলে হোসেন বাদশাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

×