নয়াপল্টনে সংঘর্ষ
সেই সোহাগ 'আটক'
পুলিশের দাবি, সংঘর্ষের সময় লাঠি হাতে শার্টের বোতাম খোলা অবস্থায় সংঘাতে জড়াতে দেখা গেছে সোহাগ ভূঁইয়াকে
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ১৫:৪৪ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ১৬:১৬
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভাংচুর ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের সঙ্গে জড়িত সোহাগ ভূঁইয়াকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করেছে বলে দাবি তুলেছে তার পরিবার। সোহাগ শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। সংঘর্ষের সময় একাধিক ফুটেজে লাঠি হাতে শার্টের বোতাম খোলা অবস্থায় সংঘাতে জড়াতে দেখা গেছে তাকে। তবে রোববার রাত পর্যন্ত সোহাগকে আটকের কথা আনুষ্ঠানিক নিশ্চিত করেননি পুলিশের কোন কর্মকর্তা। সোহাগ ভূঁইয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
বুধবার নয়াপল্টনে সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও আরও কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাস, রুহুল কবীর রিজভী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
সোহাগের বোন সেলিনা আক্তার জানান, রোববার সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর শনির আখড়ায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে সোহাগকে তুলে নেয় পুলিশ। এর আগে তার পরিবারের সদস্যদের আটক করা হয়। তখন সোহাগ কোথায় লুকিয়ে আছে, তা জানাতে চাপ দেওয়া হয়। স্বজনদের কাছ থেকে ঠিকানা জানার পর তাকে আটক করে পুলিশ।
তদন্ত সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বুধবার সংঘর্ষের সময় খালি বুক দেখিয়ে 'এসো গুলি মারো বুকে' বলে চিৎকার করে নয়াপল্টনের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলেন সোহাগ ভূঁইয়া।
পুলিশ বলছে, সংঘাতের সময় সাদা হেলমেট, কালো শার্ট ও জিন্স প্যান্ট পরা এক যুবককে পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করতে দেখা যায়। ভাংচুর শেষে শার্টের বোতাম খুলে পোজ দিচ্ছিলেন তিনি। ওই যুবকের নাম জাহিদুজ্জামান শাওন। তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক। এ ছাড়া সিসিটিভির ফুটেজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া ছবি বিশ্নেষণ করে নয়াপল্টনে হামলাকারী হিসেবে মো. মহসিন, খালেদ সাইফুল্লাহসহ আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারী শাহজালাল খন্দকার কবীরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি ছাত্রদলের পল্টন থানা কমিটির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য। সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেফতারে চলছে অভিযান।
এ ছাড়া বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়ের পূত্রবধূ নিপুণ রায় চৌধুরীসহ রিমান্ডে নেওয়া সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। কেন আগে থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এত সংখ্যক লাঠি এনে রাখা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পরিকল্পিতভাবে বুধবার নাশকতার সূত্রপাত ঘটানো হয় বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
- বিষয় :
- নয়াপল্টনে সংঘর্ষ
- গোয়েন্দা পুলিশ
- ডিবি
- বিএনপি