ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ঢাকাই ছবির দর্শকপ্রিয় জুটি

ঢাকাই ছবির দর্শকপ্রিয় জুটি

আব্দুর রাজ্জাক সরকার

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০১৮ | ০৯:১২ | আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ | ১২:২৩

রাজ্জাক-কবরী, আলমগীর-শাবানা, কিংবা নব্বইয়ের সালমান-শাবনূর-বাংলাদেশি সিনেমার অগ্রযাত্রায় তাদের আর্বিভাব চলচ্চিত্রকে অনন্য এক আসনে আসীন করেছে। বিশ্ব চলচ্চিত্রের মতো দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাস রচনা করতে গেলেও তাদের নাম ঘুরে ফিরে আসবে বারবার। দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের জন্য এক সময় নির্মাতারা বিভিন্ন নায়ক-নায়িকার জুটির ওপর নির্দ্বিধায় আস্থা রেখেছেন, নির্মাণ করেছেন ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। আর নায়ক-নায়িকারাও তাদের অভিনয়গুণে দর্শক হৃদয়ে গেড়েছেন স্থায়ী আসন। গত শতাব্দীর শেষ দশকে দেশের সেলুলয়েডে তুমুল জনপ্রিয় সালমান-শাবনূর জুটির কথা আজও দর্শক হৃদয়ে ভাস্বর হয়ে আছে। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের চলচ্চিত্র অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। খুব যে ভালো অবস্থানে আছে তা বলা হয়তো কঠিন, কিন্তু চলচ্চিত্রের যেটুকুই বা প্রসার হয়েছে তাতে নায়িকা-নায়িকার জুটির অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। আর সব জুটিই তাদের অভিনয়ের দিক থেকেই ছিলেন স্বতন্ত্র। এদের মধ্য থেকে সেরা জুটি বাছাই করা বেশ দুরূহ। সর্বাধিক ছবির দিক থেকে দর্শকপ্রিয় জুটিগুলো নিয়ে এ প্রতিবেদন।

চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের মতে, ১৯৫৯ সালে পরিচালক এহতেশাম ‘এ দেশ তোমার আমার’ সিনেমায় খান আতাউর রহমান (আনিস) ও সুমিতা দেবী নামে একজোড়া নতুন মুখের পরিচয় করিয়ে দেন। এ জুটি জনপ্রিয়তা পেলে সেখান থেকে শুরু হয় ঢাকার ছবিতে জুটিপ্রথার ইতিহাস। এরপর আবির্ভাব হয় রহমান-শবনম জুটি। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে জুটি বেঁধে একসঙ্গে অভিনয় করেন তারা। সিনেমাটি মুক্তির পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় রহমান-শবনম জুটি। রহমান-শবনম জুটি বাংলা ও উর্দু— দুই ভাষার সিনেমাতেই সমানতালে অভিনয় করে গেছেন। রহমান-শবনম জুটির পর সফল হয় আজিম-সুজাতা জুটিও। তবে তাদের ছাপিয়ে যান রাজ্জাক-কবরী জুটি। 

রাজ্জাক-কবরী

১৯৬৭ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘আবির্ভাব’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে রাজ্জাক-কবরী জুটির। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এ জুটিকে। তারা একের পর এক উপহার দেন ব্যবসাসফল ছবি।

‘রংবাজ’ ছবিটিকে রাজ্জাক-কবরী জুটির সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে ধরা হয়। একইসঙ্গে এ সিনেমাটি বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে একটি মাইলফলকও। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। এটিই বাংলাদেশের প্রথম অ্যাকশনধর্মী সিনেমা। এ ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রথম অ্যাকশনের সূচনা হয়। এছাড়া ‘রংবাজ’ ছবির মাধ্যমে একজন প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন নায়করাজ রাজ্জাক। এ ছবির ‘সে যে কেন এল না, কিছু ভালো লাগে না’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে।

দর্শকের ভালোবাসায় কবরী খেতাব পান ‘মিষ্টি মেয়ে’। প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি হিসেবে বেশ সুনাম কুড়ান রাজ্জাক-কবরী জুটি। তারা একসঙ্গে ৬০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ‘পরিচয়,‘অধিকার’,‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’,‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘বেঈমান’ ও ‘অবাক পৃথিবী’।

এখন পর্যন্ত রাজ্জাক-কবরী জুটিই দেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা জুটি বলে মনে করেন চলচ্চিত্রবোদ্ধারা। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট জীবনাবসান ঘটে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মুকুটহীন সম্রাট রাজ্জাকের। আর ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী সিনেমা ছেড়ে এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবীদ। মাঝে মাঝে অবশ্য পর্দায় দেখা যায় তাকে।

রাজ্জাক-কবরী জুটির পর ফারুক-ববিতা, আলমগীর-শাবানা, ওয়াসিম-অঞ্জু ও ববিতা-জাফর ইকবাল জুটিগুলো পর্দা কাঁপায়। তবে এসব জুটির মধ্যে শাবানা-আলমগীর জুটি সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পায় এবং এ জুটিই এখন পর্যন্ত দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। 

শাবানা-আলমগীর

পারিবারিক টানাপোড়ন ও সামাজিক অ্যাকশনধর্মী ছবির কথা বলতেই চোখে ভাসে শাবানা-আলমগীর জুটির সিনেমা। আশি ও নব্বইয়ের দশকে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছে এ জুটি। জনপ্রিয়তায় এই জুটি ছাড়িয়ে যায় সব মাত্রা। একের পর এক উপহার দিতে থাকে ব্যবসাসফল সব ছবি।

১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ ও ‘সখিনার যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে একসঙ্গে কাজ করেন শাবানা ও আলমগীর। এখান থেকেই গড়ে উঠে সবচেয়ে বেশি সিনেমা উপহার দেওয়া শাবানা-আলমগীর জুটি। একসঙ্গে তাদের অভিনীত ছবির সংখ্যা ১৩০টি। জুটি প্রথার সিনেমায় এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

শাবানা-আলমগীর জুটির ব্যবসাসফল ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘মান-সম্মান’, ‘ঘরের বউ’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘অস্বীকার’, ‘ভাত দে’, ‘রাঙা ভাবি’, ‘অশান্তি’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘মরণের পরে’, ‘গরীবের বউ’ ও ‘পিতামাতার সন্তান’।

শাবানা অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ২৯৯টি। এর মধ্যে ১৩০টি চলচ্চিত্রে শাবানার বিপরীতে নায়ক ছিলেন আলমগীর। এছাড়া আরেক দিক থেকেও তারা অনন্য। এ জুটি মোট ১৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এর মধ্যে আলমগীর ৯ বার এবং শাবানা ১০ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

শাবানা-আলমগীর ছাড়াও আশি ও নব্বইয়ের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও দিতি। একসঙ্গে প্রায় পঞ্চাশটি ছবিতে অভিনয় করেন তারা। জুটি বেঁধে অভিনয় করতে করতে একসময় ঘরও বাঁধেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও দিতি। এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চন-চম্পা জুটিও জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এছাড়া ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে জুটি গড়ে উঠেছিল অঞ্জু ঘোষেরও। ইলিয়াস কাঞ্চন-অঞ্জু ঘোষ অভিনীত ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ ছবিটি এখন পর্যন্ত দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ টাকা আয় করা সিনেমা।  

নাঈম-শাবনাজ

১৯৯০ সালে পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান নাঈম-শাবনাজ জুটি। দু’জনেরই এটি ছিল প্রথম ছবি। প্রথম ছবিতেই জুটি হিসেবে ব্যাপক সফলতা পান নাঈম-শাবনাজ। তাদের অনস্ক্রিন রসায়ন বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। ফলে পরিচালকরাও তাদের নিয়ে একের পর এক ছবি নির্মাণ শুরু করেন। 

নাঈম-শাবনাজ জুটির মাধ্যমে নম্বইয়ের দশকে চলচ্চিত্র আবার নতুন গতি পায়। তাদের হাত ধরে চলচ্চিত্রে নতুন মুখ আসা শুরু করে। এ জুটির সফলতার কারণে সালমান শাহ, মৌসুমী ও শাবনূরের মতো নতুন মুখের আগমন ঘটেছিল সে সময়। 

প্রায় দশ বছরের ক্যারিয়ারে ২০টির মতো চলচ্চিত্রে একসঙ্গে অভিনয় করেন নাঈম-শাবনাজ। এ জুটির উল্লেখযোগ্য সিনেমা— ‘জিদ‘, ‘লাভ‘, ‘চোখে চোখে‘, ‘অনুতপ্ত‘, ‘বিষের বাঁশি‘, ‘সোনিয়া‘, ‘টাকার অহঙ্কার‘, ‘সাক্ষাৎ‘ ও ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ‘।

একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে একসময় একে অপরের প্রেমে পড়েন নাঈম-শাবনাজ। তবে কখনো মিডিয়ার সামনে তাদের প্রেমকাহিনি স্বীকার করেননি। ১৯৯৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এ জুটি। এরপর আস্তে আস্তে চলচ্চিত্র থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করেন তারা। ২০০০ সালের দিকে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা শুরু হলে একপ্রকার অভিমান থেকেই রূপালি পর্দা থেকে বিদায় নেন নাঈম-শাবনাজ। এরপর আর তাদের পর্দায় তেমন দেখা যায়নি। 

নব্বইয়ের দশকে দেশীয় চলচ্চিত্র থেকে দর্শকরা যখন মুখ ফিরিয়ে নেন তখনই ত্রাণকর্তা হিসেবে আগমন ঘটে ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহর। তার হাত ধরে ঢাকাই সিনেমা পায় নতুন গতি। প্রথমদিকে মৌসুমীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন এ নায়ক। সালমান-মৌসুমী জুটির ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ঢাকাই ছবির ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যবসাসফল ছবি। ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ পর এ ছবিটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাকা আয় করে। ব্যক্তিগত মান-অভিমানে ভেঙে যায় সালমান-মৌসুমী জুটি। সালমান জুটি বাঁধেন শাবনূরের সঙ্গে, মৌসুমী জুটি গড়েন ওমর সানীর সঙ্গে।

সালমান-শাবনূর

সালমান-শাবনূর জুটি বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে যেমন একটি সাড়াজাগানো জুটি, তেমনি একটি দীর্ঘশ্বাসও। কারণ অনেকে মনে করেন, সালমানের আকস্মিক মৃত্যু না হলে উত্তম-সুচিত্রা জুটির মতোই বাংলা সিনেমা পেত আরেকটি কিংবদন্তি জুটি সালমান-শাবনূর। তবুও মাত্র চার বছরের স্বল্প সময়ে এ জুটি উপহার দিয়েছে ব্যবসাসফল বেশ কিছু ছবি।

১৯৯৪ সালে ‘তুমি আমার’ ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে সালমান-শাবনূর জুটির। প্রথম ছবিতেই বাজিমাৎ করে এ জুটি। সালমানের ২৭টি ছবির মধ্যে ১৪টি-তেই নায়িকা ছিলেন শাবনূর।

‘তুমি আমার’ সিনেমার পর সালমান-শাবনূর জুটি একে একে উপহার দেয় ‘সুজন সখি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহামিলন’, ‘বিচার হবে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘বুকের ভিতর আগুন’।

এদের মধ্যে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ ছবির গান ‘ও সাথীরে’ এবং ‘বিক্ষোভ’ সিনেমার গান ‘একাত্তরের মা জননী’ এখনও মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। সালমান-শাবনূর জুটির ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল সিনেমা। এটি সে সময় আয় করে প্রায় ১৯ কোটি টাকা।

সালমান-শাবনূর জুটির পর কয়েকটি ছোট ছোট জুটি গড়ে উঠলেও সেগুলো দর্শকদের সেভাবে নাড়া দিতে পারেনি। উল্লেখযোগ্য জুটিগুলো হচ্ছে— রিয়াজ-পূর্ণিমা, রিয়াজ-শাবনূর, শাকিল খান-পপি, মান্না-মৌসুমী, শাকিব খান-অপু বিশ্বাস এবং অনন্ত-বর্ষা। তবে এসব জুটির মধ্যে শাকিব-অপু জুটির সিনেমার সংখ্যা বেশি।

শাকিব-অপু

জুটিপ্রথার সর্বশেষ সফল জুটি হিসেবে ধরা হয় শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসকে। ২০০৬ সালে পরিচালক এফআই মানিকের ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবির মধ্য দিয়ে একসঙ্গে পথচলা শুরু তাদের। ‘কোটি টাকার কাবিন’-এর সফলতার পর এফআই মানিক এই জুটিকে নিয়ে একই বছর নির্মাণ করেন ‘পিতার আসন’, ‘চাচ্চু’, ও ‘দাদীমা’। সবগুলো ছবিই দর্শকপ্রিয়তা পায়।

এরপর শাকিব খান-অপু বিশ্বাস জুটিকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার উপহার দেন ‘কোটি টাকার প্রেম’, ‘কিং খান’, ‘আদরের জামাই’, ‘প্রিয়া আমার জান’ ও ‘নাম্বার ওয়ান শাকিব খানে’র মতো ব্যবসা সফল ছবি। এ জুটির বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘নাম্বার ওয়ান শাকিব খান’ ছবিটি ঢালিউডের সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবিগুলোর তালিকায় সেরা দশে অবস্থান করে নেয়।

এক দশক ধরে বড় পর্দায় জুটি ছিলেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। একসঙ্গে মোট ৭২টি ছবিতে অভিনয় করেন তারা। এ জুটির শেষ সিনেমা ছিল ২০১৬ সালের ‘সম্রাট’।

শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় তাদের সন্তান আব্রাম খান জয়ের। শাকিব-অপু দুজনেই বিয়ে ও সন্তানের জন্মের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। তবে ২০১৭ সালের এপ্রিলে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভ অনুষ্ঠানে এসে বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন অপু বিশ্বাস। তখন দু'জনের মধ্যে শুরু হয় টানাপোড়েন। ২০১৮ সালের মার্চে শাকিব-অপুর দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে। শাকিব আগে থেকেই কাজে ব্যস্ত থাকলেও অপু এখন পুনরায় চলচ্চিত্রে ব্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন।

অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বুবলিকে নিয়ে নতুন জুটি গড়েন শাকিব খান। আলোচিত-সমালোচিত এ জুটি এরই মধ্যে ৯টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কলকাতাতেও জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন শাকিব। এছাড়া ওপার বাংলায় শক্তিশালী অবস্থান গড়ে নিয়েছেন বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান।

আরও পড়ুন

×