ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

১০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ভূমিধসের ঝুঁকিতে

১০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ভূমিধসের ঝুঁকিতে

ফাইল ফটো

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০১৮ | ১৫:৫১

ক্যাম্পগুলোতে ১০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ভূমিধসের চরম ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। ফলে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সাহায্য সংস্থাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের যত দ্রুত সম্ভব এসব রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করছে সংস্থাটি। 

বুধবার প্রকাশিত এক অনলাইন ভিডিওতে এইচআরডব্লিউ এ কথা জানায়।

এ ছাড়া গত আগস্টে রাখাইনে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের সময় ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের তথ্য দিতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ ও ফোর্টিফাই রাইটস। জাতিসংঘ কমিটির অনুরোধ অনুযায়ী মিয়ানমারকে অবশ্যই এ তথ্য দিতে হবে। 

এদিকে, রোহিঙ্গা সংকট ও রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আগামী মাসে জাতিসংঘের একটি নতুন কমিটি মিয়ানমার সফরে যাবে। বুধবার জাতিসংঘের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এএফপি। 

এইচআরডব্লিউর নতুন ভিডিওতে বলা হয়, বর্ষা মৌসুমে সাইক্লোন ও প্রবল বাতাসের কারণে বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে রোহিঙ্গাদের নির্মিত ঘরগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্পে এসব রোহিঙ্গা ন্যাড়া ও ঢালু মাটির পাহাড়ের খাঁজে বসবাস করছে। তাই তারা ভূমিধসের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। 

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউ ও ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, ২০১৬-১৭ সালে রাখাইনের রোহিঙ্গা গ্রামগুলোয় সেনাবাহিনী যে যৌন সহিংসতা চালিয়েছে, তা নিয়ে উভয় গ্রুপ ১১ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। এর মধ্যে গত নভেম্বরে নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ কনভেনশন (সিইডিএডব্লিউ) অনুযায়ী মিয়ানমার সরকারকে রাখাইনের নারী ও মেয়ে শিশুদের প্রকৃত অবস্থা জানাতে মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু মিয়ানমার এখনও এ সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি। উপরন্তু ঢালাও অভিযোগ এসেছে সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণের। তাই এ বিষয়ে এইচআরডব্লিউ ও ফোর্টিফাই রাইটস আবারও বিষয়টির প্রতি মিয়ানমার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

এদিকে রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আগামী মাসে জাতিসংঘের একটি নতুন কমিটি নেপিদো যাবে। এ বিষয়ে বৈঠক করে সবকিছু ঠিক করতে এরই মধ্যে সুইডিশ কূটনীতিক ক্রিস্টিন সাহরাহনের বার্গনেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন

×