ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ময়মনসিংহে নিহত যুবলীগ নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

ময়মনসিংহে নিহত যুবলীগ নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

ফাইল ছবি

 ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১৬:৩৩ | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১৬:৩৫

ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে রাজাকার বলার অভিযোগে ময়মনসিংহে নিহত যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ আলম আজাদ শেখের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার দিলুসহ (৩২) ৯ জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন এ মামলা করেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের বিচারক রোজিনা খানম মামলাটি আমলে নিয়ে দিলরুবার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে এক মানববন্ধনে দিলরুবা অন্য আসামিদের উস্কানিতে ধর্মমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানকে 'রাজাকার' বলে আখ্যায়িত করেন। এতে মন্ত্রীকে হেয়প্রতিপন্ন ও তার সম্মান বিনষ্ট করা হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়।

মামলা সম্পর্কে বাদীর আইনজীবী আব্দুর রহমান আল হুসাইন তাজ বলেন, আদালতে ধর্মমন্ত্রীকে 'রাজাকার' বলে কটূক্তি করার সিডি, মানববন্ধনের বক্তব্যের প্রিন্ট কপি ও মানববন্ধনের ছবি দাখিল করা হয়েছে। বিচারক সিডি দেখে এবং বক্তব্য পর্যালোচনা করে উপরোক্ত আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে দিলরুবা জানান, তিনি ধর্মমন্ত্রীকে রাজাকার বলেননি। মানববন্ধনে বলা হয়েছে, তার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তারা রাজাকার। আজাদ হত্যাকাণ্ডের পর মামলা না নেওয়ায় তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আজাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ধর্মমন্ত্রীর পুত্রকে অভিযুক্ত করা হলেও ধর্মমন্ত্রী হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি। তাই বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রীর নাম এসেছে।

শাহীনের মামলায় অপর আসামিরা হলেন- তুলি (৩২), হাসিনা (২৮), ইতি (২২), আনোয়ারা আনু (৪৫), ফরিদা (৪৮), আলমগীর হোসেন আলম শেখ (২৭), মানিক (২৭) ও শেখ ছাব্বির (২৮)।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৩১ জুলাই প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন মহানগর যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ শেখ। এ মামলায় প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন ধর্মমন্ত্রীর ছেলে। অভিযোগ রয়েছে, এ কারণে পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা নিতে চায়নি। পরে দিলরুবা হাইকোর্টে রিট করেন। গত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আজাদ হত্যা মামলার এজাহার গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে খুনের এক মাস পর আজাদ হত্যা মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধর্মমন্ত্রীর ছেলে মোহিত উর রহমান শান্ত এ মামলার প্রধান আসামি।

আরও পড়ুন

×