ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

পরীক্ষা কেন্দ্রে নয় সুমনা চলে গেল অনন্তলোকে

পরীক্ষা কেন্দ্রে নয় সুমনা চলে গেল অনন্তলোকে

সুমনার প্রবেশপত্র নিয়ে মায়ের আহাজারি। ছবি: সমকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৮ | ১৪:৫৪ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ | ০৪:১৮

সকালবেলা হাসিমুখে বাসা থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল সুমনা আক্তার। বাসার লোকজনও হাসিমুখে বিদায় দিয়েছিল সুমনাসহ তার পাঁচ সহপাঠীকে। কিন্তু সুমনার আর পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া হলো না; দ্বিতীয় দিনের প্রাথমিক সমাপনী (প্রাইমারি এডুকেশন সার্টিফিকেট-পিইসি) পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা আগে আকস্মিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় ফুটফুটে শিশুটি চলে গেল অনন্তলোকে- না ফেরার দেশে।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানার পুরাতন পোর্ট মার্কেটসংলগ্ন এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। সুমনা ও তার সহপাঠী পিংকীকে বহন করা রিকশাটিকে পেছন থেকে একটি টমটম ধাক্কা দিলে পড়ে গিয়ে টমটমের চাকার নিচে চলে যায় সুমনা। এ ঘটনায় তার বন্ধু আরেক পরীক্ষার্থী পিংকীর একটি পা ভেঙে গেছে।

নিহত সুমনা ওই এলাকার ঘাসফুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। তাদের বাড়ি সন্দ্বীপের রহমতপুর এলাকায়। থাকত পোর্ট কলোনি ৩ নম্বর রোডের রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে। তার বাবা বাবর উদ্দিন ট্রাকচালক।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, সকালে বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা করে নিমতলা মকবুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল সুমনা ও পিংকী। তাদের বহনকারী রিকশাকে একটি টমটম (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশার অ্যাপেল ভেঙে তারা দু'জন রাস্তায় পড়ে যায়। এ সময় সুমনা টমটমটির চাকার নিচে চলে যায়। হাসপাতালে আনা হলে সুমনাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার সহপাঠী পিংকীর পা ভেঙে গেছে।

সুমনার খালু মো. জসিম বলেন, আমার মেয়ে পিংকী, সুমনাসহ পাঁচজন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। তাদের দুটি রিকশা ঠিক করে দিয়েছিলাম। সুমনা আর পিংকী ছিল এক রিকশায়। টমটম ধাক্কা দেওয়ার পর ওরা রিকশা থেকে পড়ে যায়। অন্য রিকশার চালক এসে তাদের রাস্তা থেকে তুলে বন্দর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আহত দু'জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, সুমনা আগেই মারা গেছে।

আরও পড়ুন

×