- জাতীয় শোক দিবস
- 'এক ভাই খুনের বিচার না পেতেই আরেক ভাই খুন'
'এক ভাই খুনের বিচার না পেতেই আরেক ভাই খুন'

'এক ভাইয়ের খুনের বিচার না পেতেই আরেক ভাই খুন হয়ে গেল। গরিব বলে কি আমরা বেঁচে থাকতে পারব না? ছয় বোনের দুইটি ভাই-ই ছিল। একজনকে আগেই হত্যা করেছে, এবার একমাত্র ভাইকেও খুন করল।' ভাই সুর্জয় বিশ্বাস হত্যার বিচার দাবিতে গতকাল রোববার মানববন্ধনে এসে এভাবেই আহাজারি করেন পাগলপ্রায় হতভাগ্য বোন দুর্গা বিশ্বাস।
জানা যায়, গত শুক্রবার ইজিবাইক ছিনতাইকালে সুর্জয় বিশ্বাসকে হত্যা করে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। পরে ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের একটি আমবাগান থেকে সুর্জয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বছর তিন আগে সুর্জয়ের ছোট ভাই আরাধন ক্রিকেট ব্যাটের আঘাতে মারা যান। এ ঘটনার বিচার দাবিতে রোববার বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। এক পর্যায়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদের সরিয়ে নেন।সুর্জয়ের বড় বোন দুর্গা বিশ্বাস বলেন, 'তিন বছর আগে আমার ভাই আরাধনকে স্থানীয় কাব্য রাহা ও তীব্র রাহা মিলে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। সেই মামলা প্রত্যাহার না করায় কয়েক দিন আগে আমার ভাই সুর্জয়কে মারার জন্য ধাওয়া করে। আমাদের ধারণা সুর্জয়কে হত্যার জন্য ওরাই জড়িত।'
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া এলাকার স্থানীয়রা একটি আমবাগানে লাল জ্যাকেট ও কালো জিন্সের প্যান্ট পরা সুর্জয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তার গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে সুর্জয়ের লাশ উদ্ধার করে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সুর্জয় বিশ্বাস কয়েকজন যাত্রী নিয়ে গোয়ালন্দ থেকে ফরিদপুর শহরের আলীপুরের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর শুক্রবার তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইজিবাইকটি ছিনতাই করার জন্য তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন