৪ জুলাই কলকাতার আদালতে তোলা হবে পিকে হালদারসহ ৬ জনকে

বহুল আলোচিত কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে আগামী ৪ জুলাই কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) তোলা হবে। 

বুধবার মামলাটি আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে ওঠে। সকাল ১১টার দিকে অভিযুক্তদের আদালতে আনা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না একটি অ্যাডজার্নমেন্ট পিটিশন দায়ের করেন। এই পিটিশনে মোকদ্দমার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আরজি জানানো হয়। উভয় পক্ষের আরজি শুনে পরবর্তী শুনানির দিন ৪ জুলাই ধার্য করা হয়। 

বর্তমানে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ ৫ জন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে ও একমাত্র নারী অভিযুক্ত আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। 

বহুল আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পিকে হালদারকে। 

এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের আরও ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার। পরে ওই বছরের ২১ মে ‘অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২’ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। 

অপরদিকে, ইডি সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রাণেশ কুমার হালদার (পি কে হালদারের ভাই) নামে যে ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন, তিনি নাকি পিকের ভাই নন। প্রাণেশ নামে গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার বাসিন্দা। তিনি পেশায় রিকশাচালক। এক সময় পিকে হালদারের ভারতের বাসায় কাজ করতেন।