- প্রতিক্রিয়া
- শিক্ষিত বেকারের কথা ভাবুন
শিক্ষিত বেকারের কথা ভাবুন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ছাদেকুল আরেফিন ২০ মার্চ সমকালের সম্পাদকীয় পাতায় 'শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবহেলা নয়' শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়েছে, এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। তার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলতে চাই, করোনার সময় চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ থাকায় শিক্ষিত বেকারদের মানসিক অবস্থা কি আমরা বোঝার চেষ্টা করি?
গত ১০ বছরে দেশে স্নাতক পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু তাদের জন্য কর্মসংস্থান কতটা বেড়েছে? মূলত উৎপাদনশীল ও কৃষি খাতে চাহিদা বর্ধনশীল। কিন্তু এ দুটি খাতে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর তরুণদের কাজের সুযোগ কম। দরকার কারিগরিভাবে দক্ষ মানবসম্পদ। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা 'দক্ষ' মানবসম্পদ তৈরি করে না; চাহিদানির্ভর, বাজারভিত্তিক ও কারিগরি দক্ষতা তৈরির দরজা বন্ধ রেখে 'শিক্ষিত' জনগোষ্ঠী বানায়। অর্থাৎ বেকারত্ব বাড়ায়। সরকারি চাকরিতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ার কারণে ইদানীং মেধাবী ও শিক্ষিত তরুণরা সেদিকে ঝুঁকছেন বটে; কিন্তু তাতে কত শতাংশের বেকারত্ব ঘুচছে? দেশের বহু শিল্পকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানি করছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন ২৬ লাখ ৩১ হাজার বেকার। তাদের মধ্যে প্রায় ৩১ শতাংশই উচ্চ মাধ্যমিক কিংবা স্নাতক ডিগ্রিধারী। বেকার জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭৪ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছর। তাদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা শেষ করেও প্রায় ৭৮ হাজার তরুণ-তরুণী কাজ বা চাকরি পাচ্ছেন না। বিবিএসের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, দেশে অশিক্ষিত বেকার যেখানে তিন লাখ, সেখানে শিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৭৭ হাজার। এই শিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিতের মধ্যে আবার প্রাথমিক পাস বেকারের সংখ্যা চার লাখ ২৮ হাজার, মাধ্যমিক পাস বেকারের সংখ্যা আট লাখ ৯৭ হাজার, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেকার ছয় লাখ ৩৮ হাজার এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বেকারের সংখ্যা চার লাখ পাঁচ হাজার। উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিনকে ধন্যবাদ জানাই তার সময়োপযোগী লেখার জন্য। তবে শিক্ষিত বেকারদের জন্য কোনো যৌক্তিক সমাধান তার লেখায় ফুটে উঠলে আমরা আরও উপকৃত হতে পারতাম।
শিক্ষার্থী, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
গত ১০ বছরে দেশে স্নাতক পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু তাদের জন্য কর্মসংস্থান কতটা বেড়েছে? মূলত উৎপাদনশীল ও কৃষি খাতে চাহিদা বর্ধনশীল। কিন্তু এ দুটি খাতে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর তরুণদের কাজের সুযোগ কম। দরকার কারিগরিভাবে দক্ষ মানবসম্পদ। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা 'দক্ষ' মানবসম্পদ তৈরি করে না; চাহিদানির্ভর, বাজারভিত্তিক ও কারিগরি দক্ষতা তৈরির দরজা বন্ধ রেখে 'শিক্ষিত' জনগোষ্ঠী বানায়। অর্থাৎ বেকারত্ব বাড়ায়। সরকারি চাকরিতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ার কারণে ইদানীং মেধাবী ও শিক্ষিত তরুণরা সেদিকে ঝুঁকছেন বটে; কিন্তু তাতে কত শতাংশের বেকারত্ব ঘুচছে? দেশের বহু শিল্পকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানি করছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন ২৬ লাখ ৩১ হাজার বেকার। তাদের মধ্যে প্রায় ৩১ শতাংশই উচ্চ মাধ্যমিক কিংবা স্নাতক ডিগ্রিধারী। বেকার জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭৪ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছর। তাদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা শেষ করেও প্রায় ৭৮ হাজার তরুণ-তরুণী কাজ বা চাকরি পাচ্ছেন না। বিবিএসের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, দেশে অশিক্ষিত বেকার যেখানে তিন লাখ, সেখানে শিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৭৭ হাজার। এই শিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিতের মধ্যে আবার প্রাথমিক পাস বেকারের সংখ্যা চার লাখ ২৮ হাজার, মাধ্যমিক পাস বেকারের সংখ্যা আট লাখ ৯৭ হাজার, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেকার ছয় লাখ ৩৮ হাজার এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বেকারের সংখ্যা চার লাখ পাঁচ হাজার। উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিনকে ধন্যবাদ জানাই তার সময়োপযোগী লেখার জন্য। তবে শিক্ষিত বেকারদের জন্য কোনো যৌক্তিক সমাধান তার লেখায় ফুটে উঠলে আমরা আরও উপকৃত হতে পারতাম।
শিক্ষার্থী, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন