- প্রতিক্রিয়া
- ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ব্যবস্থা নিন
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ব্যবস্থা নিন

১৫ এপ্রিল সমকালের ১৫ পাতায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনের বরাত দিয়ে 'ঈদে ঢাকা ছাড়বে এক কোটির বেশি মানুষ' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। প্রতি বছর ঈদ উদযাপনে ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী প্রায় দুই কোটি নাগরিকের অর্ধেকই গ্রামে চলে যায়। কিন্তু গত দুই বছর করোনার কারণে বিধিনিষেধ এবং গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের বিড়ম্বনার বিষয়টি গত কয়েক দিন ধরেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে।
প্রতি বছর শিক্ষা, কর্মসংস্থান কিংবা ভাগ্য বদলের তাড়নায় ঢাকায় আসা মানুষের উল্লেখযোগ্য অংশ যখন একসঙ্গে রাজধানী ছাড়ে, তখন সৃষ্টি হয় বিড়ম্বনার। বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় নানা বিপর্যয়ের। বিপুল মানুষের চাপ নিতে পারে না আমাদের সড়ক-মহাসড়ক। ট্রেন কিংবা লঞ্চ কোনো ক্ষেত্রেই এ দুর্ভোগের নিস্তার নেই। ট্রেন কিংবা লঞ্চে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচলে প্রায়ই সৃষ্টি হয় দুর্ঘটনার। স্বপ্ন এবং জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে বাড়ি ফেরে এসব মানুষ। সরকারের পক্ষ থেকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলা হলেও এর সুফল ঘরমুখো মানুষ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পায় না।
বরাবরের মতো এবারও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নিয়মিত ট্রেনের বাইরে কিছু বিশেষ ট্রেন চলবে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছয় থেকে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হতে পারে, এমন প্রস্তুতি আছে সংশ্নিষ্টদের। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম বাস। ঈদ উপলক্ষে বাসের টিকিটের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় উদ্ভব হয় টিকিট কালোবাজারির পরিবেশের। এ ছাড়া জনদুর্ভোগের আরেক নাম যানজট তো আছেই। মহাসড়কে চলতে থাকা উন্নয়ন কাজ, অপ্রশস্ত রাস্তা, ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক ব্যবস্থা ইত্যাদির কারণেও সৃষ্টি হয় যানজট। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও ঈদযাত্রার বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সুফল মিলবে কতটা, এর উত্তর মিলবে ভবিষ্যতে।
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতি বছর শিক্ষা, কর্মসংস্থান কিংবা ভাগ্য বদলের তাড়নায় ঢাকায় আসা মানুষের উল্লেখযোগ্য অংশ যখন একসঙ্গে রাজধানী ছাড়ে, তখন সৃষ্টি হয় বিড়ম্বনার। বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় নানা বিপর্যয়ের। বিপুল মানুষের চাপ নিতে পারে না আমাদের সড়ক-মহাসড়ক। ট্রেন কিংবা লঞ্চ কোনো ক্ষেত্রেই এ দুর্ভোগের নিস্তার নেই। ট্রেন কিংবা লঞ্চে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচলে প্রায়ই সৃষ্টি হয় দুর্ঘটনার। স্বপ্ন এবং জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে বাড়ি ফেরে এসব মানুষ। সরকারের পক্ষ থেকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলা হলেও এর সুফল ঘরমুখো মানুষ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পায় না।
বরাবরের মতো এবারও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নিয়মিত ট্রেনের বাইরে কিছু বিশেষ ট্রেন চলবে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছয় থেকে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হতে পারে, এমন প্রস্তুতি আছে সংশ্নিষ্টদের। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম বাস। ঈদ উপলক্ষে বাসের টিকিটের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় উদ্ভব হয় টিকিট কালোবাজারির পরিবেশের। এ ছাড়া জনদুর্ভোগের আরেক নাম যানজট তো আছেই। মহাসড়কে চলতে থাকা উন্নয়ন কাজ, অপ্রশস্ত রাস্তা, ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক ব্যবস্থা ইত্যাদির কারণেও সৃষ্টি হয় যানজট। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও ঈদযাত্রার বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সুফল মিলবে কতটা, এর উত্তর মিলবে ভবিষ্যতে।
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন