- অন্যান্য
- পাচার অর্থ ফেরত আনতে সহায়তা করবে এফবিআই
পাচার অর্থ ফেরত আনতে সহায়তা করবে এফবিআই

পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে কীভাবে সহায়তা নেওয়া যায়, সহায়তার জন্য কোন অথরিটি কীভাবে কাজ করবে- এসব বিষয়েও তারা ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
দুদকের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এফবিআই বিশেষজ্ঞরা ওই প্রশিক্ষণে আলোচনা করার সময় পাচার অর্থ ফেরত আনতে দুদককে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এই সহায়তার প্রক্রিয়া বাস্তবে রূপ দিতে দুদকের সঙ্গে এফবিআইর প্রাতিষ্ঠানিক আলোচনা হওয়া দরকার। এ ছাড়া এ ক্ষেত্রে এফবিআইর প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা পাওয়া যাবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্রিটিক্যাল করাপশন, বৃহৎ দুর্নীতির অনুসন্ধান, মানি লন্ডারিং অনুসন্ধান- এসব বিষয়ের ওপরই প্রশিক্ষণে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পাচার টাকা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করেছেন এফবিআই বিশেষজ্ঞরা।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া দুদকের মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি) এ কে এম সোহেল সমকালকে বলেন, পাচার অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে কী প্রক্রিয়ায়, কাদের সহায়তা চাওয়া যেতে পারে- এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন এফবিআই বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের যে কোনো দেশে বাংলাদেশের পাচার অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে তাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। এসব কাজে দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিন দিনের প্রশিক্ষণের সময় এফবিআই বিশেষজ্ঞরা অর্থ পাচার নিয়ে বিভিন্ন দেশে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। পাচার অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে দুদককে কীভাবে সহায়তা করা যায়- এ নিয়ে এফবিআই বিশেষজ্ঞরা কথা বলেন। বাংলাদেশের পাচার অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে দুদককে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের রেসিডেন্ট লিগ্যাল অ্যাডভাইজার সারাহ এডওয়ার্ড ছিলেন প্রশিক্ষণের চিফ কো-অর্ডিনেটর। দুদক মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রশিক্ষণের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এফবিআই বিশেষজ্ঞসহ আলোচনায় অংশ নেন ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস, ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টিকরাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টার, অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্সসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা। তিন দিনের প্রশিক্ষণে দুদকের ১৮ তদন্ত কর্মকর্তা, ১২ প্রসিকিউটরসহ মোট ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন