চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে হেনস্তার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। একইসঙ্গে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তি প্রদানেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটির নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে চারুকলাকে স্থানান্তরের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের বাধা দেন। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে ভিডিও ধারণ করতে গেলে দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নারী সাংবাদিক মারজান আক্তারকে উত্ত্যক্ত ও হেনস্তা করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে ভিডিওটি অপসারণ করার জন্য জোর করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ছাত্রলীগের এক দল নেতাকর্মী মারজান আক্তারের মোবাইল ফোন ও ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়াও আরটিভির চট্টগ্রাম অফিসের ক্যামেরাপারসন এমরানুল কায়েস মিঠুকেও হেনস্তা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সংস্থাটি বিবৃতিতে জানায়, পেশাগত দায়িত্ব পালনরত একজন সাংবাদিকের সঙ্গে এ ধরণের অসৌজন্যমূলক আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন আচরণ সরাসরি তার দায়িত্ব পালনে বাধা। এর পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনভাবে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে অন্তরায়। এ ছাড়াও এভাবে একজন নারী সাংবাদিককে হয়রানি করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে আসক মনে করে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হেনস্তার শিকার হন সমকালের চবি প্রতিনিধি মারজান আক্তার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।