ঢাকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

কেরানীগঞ্জে হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

কেরানীগঞ্জে হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২২ | ০৫:২২ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২২ | ১০:১৯

ঢাকার কেরানীগঞ্জে হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জের ঝিলমিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই আইটি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আইটি পার্কটির মাধ্যমে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে এখন কেরানীগঞ্জবাসীর অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো। কেরানীগঞ্জে হাইটেক পার্ক স্থাপন সম্পন্ন হলে এই এলাকার তরুণরা গতানুগতিক ব্যবসা-বাণিজ্যর বদলে অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে, যা দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন আনবে। 

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান স্মরণ করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা, সাহসিকতা, দূরদর্শিতা দিয়ে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন। ১৩ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তরুণরা চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে। দেশের তরুণরা যাতে উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেজন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামীতে আমাদের মেধাবী তরুণরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি রোবটিক্স, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করবে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

বর্তমানে দুই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার ঋণ প্রদান করছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করবে বলে জানান দোরাইস্বামী।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, এখন পর্যন্ত হাইটেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস বা কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইটি ইন্ডাস্ট্রির জনবলের চাহিদার দিক বিবেচনা করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটি খাতে দক্ষ জনবল তৈরি করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে ৩৬ হাজার। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইসিটি খাতে প্রায় ২২ হাজার জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেরানীগঞ্জের ৩ দশমিক ২৭২ একর জমিতে এই হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এখানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। অনু্ষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

×