পাওনা না দিলে ২৩ ফেব্রুয়ারির পর গ্রামীণফোনে প্রশাসক: বিটিআরসি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১০:৪২
গ্রামীণফোন পাওনা টাকা না দিলে এবং এ বিষয়ে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন না এলে ২৩ ফেব্রুয়ারির পর প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। খবর ইউএনবির।
সোমবার বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আপিল বিভাগের বেধে দেওয়া তিন মাস সময় শেষ হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে যদি আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন না আসে, তখন বিটিআরসি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এ সময়ের মধ্যে যদি গ্রামীণফোন বকেয়া টাকা না দেয় তাহলে প্রশাসক বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।।
এদিকে সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরার গ্রামীণফোন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজম বলেন, শিগগিরই গ্রামীণফোনের নিরীক্ষা আপত্তি নিয়ে চলমান জটিলতার সমাধান হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণফোনের যেসব সিম বাজারে রয়েছে তা এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আমাদের হাতে কোনো সিম নেই। খুচরা বিক্রেতাদের হাতে কিছু সিম রয়েছে। সেগুলো শেষ হয়ে গেলে বাজারে আর সিম পাওয়া যাবে না।
গ্রামীণফোন সিইও জানান, সিম রিসাইকেলের (পুরনো বন্ধ সিম নির্দিষ্ট সময় পর বিক্রির জন্য রেডি করা) জন্য বিটিআরসির অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু সিম রিসাইকেলের জন্য এরই মধ্যে ৩০ লাখ সিম জমা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইয়াসির আজম বলেন, সরকারের বকেয়া পাওনা নিয়ে গ্রামীণফোনের সঙ্গে যে সংকট চলছে তাতে তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নতি হবে।
- বিষয় :
- গ্রামীণফোন
- বিটিআরসি