উজবেকিস্তানের সঙ্গে মিটিং শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের বাণিজ্যবাধা দূর করতে পদক্ষেপ

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি/ সংগৃহীত পুরোনো ছবি।
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২২ | ০৭:০৬ | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২২ | ০৭:০৮
বাংলাদেশের সঙ্গে উজবেকিস্তানের বাণিজ্যবাধা দূর করতে দেশটির সরকার পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাধাগুলো দূর করার জন্য একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চলমান সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। আগামী ২০২৩ সালে উজবেকিস্তানে এ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ শুক্রবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে 'থার্ড ইন্টারগভার্মেন্টাল কমিশন মিটিং অন ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড উজবেকিস্তান' বিষয়ক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উজবেকিস্তান থেকে সার আমদানি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, উজবেকিস্তান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
তিনি আরও বলেন, উজবেকিস্তান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে তাসখন্দ সফর করেছিলেন। উভয় দেশের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। উজবেকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য ঢাকায় উজবেকিস্তানের একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, আশা করা যায় খুব কম সময়ের মধ্যে ইতিবাচক সারা পাওয়া যাবে।
টিপু মুনশি বলেন, যোগাযোগ সহজ করতে উভয় দেশের মধ্যে আকাশপথ চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করা যায় এ বিষয়ে আমরা ভালো কিছু করতে পারব। তখন মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে উজবেকিস্তান যাওয়া যাবে। এখন অনেক ঘুরে প্রায় ১২ ঘণ্টা লাগে সেখানে যেতে হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে উজবেকিস্তান বরাবরই বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছে, আগামীতে এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, সভায় সাতটি বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়। এগুলো হলো- উভয় দেশে মধ্যে বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক বিষয়, টেক্সটাইল এবং কটন সেক্টর, এগ্রো ফুড অ্যান্ড ফ্রুইটস সেক্টর, ফার্মাসিটিকেল সেক্টর, মিউচ্যুয়াল ট্রেড বেরিয়ার রিমুভ, মিউচুয়াল অ্যাট্রাকশন অব ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট এবং ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
মিটিং শেষে একটি যৌথ বিবৃতি ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয়, আলোচ্য বিষয়গুলোর ওপর উভয় পক্ষের মধ্যে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা করা হয়েছে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিতে উভয় দেশ একমত পোষণ করে। এজন্য যে সকল বাধা রয়েছে সেগুলো দূর করতে উভয় দেশের সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সভায় বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সক্ষমতা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধসহ রপ্তানি পণ্য আমদানি করার জন্য উজবেকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী জামশেদ কাদজায়েভ। বাংলাদেশের পক্ষে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাঈদুল ইসলাম, উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) নুসরাত জাবিন বানু, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি-২) মো. আব্দুর রহিম খান প্রমুখ।
- বিষয় :
- বাণিজ্যমন্ত্রী
- উজবেকিস্তান