মাউশির অফিস আদেশ
শিক্ষক বদলিতে তদবির করলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২ | ১০:৫৫ | আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ | ০৭:১২
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলিতে তদবিরের বিষয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করে মাউশি জানিয়ে দিয়েছে, বদলিসহ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন আদেশ না মেনে পরিবর্তন, সংশোধন বা বাতিলের জন্য তদবির বা রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করলে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা বা শিক্ষককে অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাউশির আদেশে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ প্রতিপালনে অনীহা প্রকাশ করতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা অনুসারে কোনো সরকারি কর্মচারী সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না। কোনো কর্মচারী এরূপ আচরণ করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং তিনি অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হবেন।
দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম মাউশি থেকেই পরিচালিত হয়। তবে ৯টি শিক্ষা অঞ্চলের বদলি শুধু সেখান থেকেই করা হয়। অঞ্চল পরিবর্তন করতে হলে মাউশিতে তদবিরের কোনো বিকল্প নেই। সেবাপ্রার্থীরা বলছেন, আঞ্চলিক বদলি করতে অল্প ঘুষ দিলে সহজেই কাজ হয়ে যায়। সময়ও লাগে কম। কিন্তু অঞ্চল পরিবর্তন করতে চাইলে মাউশি থেকেই বদলি করা হয়।
মাউশি ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই বলছেন, এখান থেকে বদলি হতে বেশ কিছু প্রভাবক দরকার হয়। এর মধ্যে অন্যতম তদবির, টাকা, ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রভাব। তবে ঘুষ দিতে হলেও ভালো তদবিরের প্রয়োজন। তা না হলে বদলির ফাইল বছরের পর বছর একই জায়গায় পড়ে থাকে।
- বিষয় :
- মাউশি
- শিক্ষক বদলি
- তদবির
- শাস্তিমূলক ব্যবস্থা