ঢাকা রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

সিন্ডিকেটের মুঠোয় সারের নাটাই

সিন্ডিকেটের মুঠোয় সারের নাটাই

জাহিদুর রহমান, ঢাকা; মোহন আখন্দ, বগুড়া ও সাজ্জাদ রানা,কুষ্টিয়া

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২২ | ১৪:০৭

আছে সর্বোচ্চ মজুত, সারের সংকট একেবারেই নেই- কৃষি মন্ত্রণালয় এমন ঢোল পেটালেও মাঠের বাস্তব ছবি পুরোটাই বিপরীত। সারের জন্য তৃণমূলের চাষিরা একরকম তেতেই আছেন। কোথাও কোথাও চাষিরা রাস্তায় নামছেন, গাড়ি আটকে দিচ্ছেন, বিক্ষোভে তুলছেন স্লোগান। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কিংবা ধরপাকড়েও কাটছে না সংকট। বাড়তি দামেও মিলছে না সার। সার নিয়ে এমন হযবরল পরিস্থিতি সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখা যায়নি। এমন সংকটের কারণ খোদ কৃষি মন্ত্রণালয়েরও অজানা। কৃষিমন্ত্রী বারবার সারের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন, তবু কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই।

সমকালের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে সারের কৃত্রিম সংকটের নানা ফিরিস্তি। পেছনে কারা, বেরিয়ে আসছে তাদের মুখগুলো। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, অসাধু কর্মকর্তা, পরিবহন ঠিকাদার ও ডিলারদের মুঠোতেই সার। এসব চক্রের লাগাম টানা না গেলে সংকট আরও গভীরে ডুব দিতে পারে। তবে সার সংকটের কারণ খুঁজতে গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল মাঠে কাজ করছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সক্রিয় পরিবহন চক্র :সার আমদানির পর চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে জাহাজ ভেড়ানো হয়। এই দুটি বন্দর থেকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তালিকাভুক্ত পরিবহন ঠিকাদাররা এ সার বিভিন্ন জেলার সরকারি গোডাউনে পৌঁছে দেন। তবে এই পরিবহন ঠিকাদাররা দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেট করে আসছেন। তাঁদের সঙ্গে আছেন বিএডিসির কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের কিছু ডিলার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমদানির সার দেশে পৌঁছালেও তা সঠিক সময়ে সরকারি গোডাউনে ঢুকছে না। এমন তথ্যের প্রমাণ মিলেছে বিএডিসির খুলনা কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. লিয়াকত আলীর এক চিঠিতে। ১ আগস্ট সার পরিবহন কোম্পানি মেসার্স পোটন ট্রেডার্সকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। ওই চিঠিতে বলা হয়, পোটন ট্রেডার্সের হেফাজতে থাকা সাতটি জাহাজের বিপরীতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৪৪ টন সারের বিপরীতে ৩৩ হাজার টন পরিবহন করেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে পশ্চিমাঞ্চলের বিপরীতে এখনও ৯২ হাজার ২৯৩ টন এমওপি সার গুদামে যায়নি। এ ছাড়া চারটি জাহাজে করে আসা এমওপি সারেরও হদিস নেই। এদিকে, বিভিন্ন অঞ্চলে এমওপি সারের সরবরাহ না পেয়ে ডিলার তথা চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সময়মতো এমওপি সার না পাওয়ায় ক্ষুণ্ণ হচ্ছে সংস্থার ভাবমূর্তি।

এ ব্যাপারে খুলনার বিএডিসির (সার) যুগ্ম পরিচালক বলেন, চিঠি দেওয়ার পর পোটন ট্রেডার্স কিছু সার দিয়েছে। এখনও প্রায় ৭৩ হাজার টন সারের হদিস নেই। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) চেয়ারম্যান ও পোটন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কামরুল আশরাফ খান পোটন বলেন, 'ইউরিয়া সারের সংকট থাকায় তা পরিবহন করতে গিয়ে এমওপি সার পরিবহনে দেরি হয়েছে।

আমরা এমওপি সার পরিবহন শুরু করেছি। এখন আর সমস্যা থাকবে না।'
কুষ্টিয়া ট্রেডিং নামে আরেক প্রতিষ্ঠানও ঠিক সময়ে সার সরকারি গুদামে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ১২ হাজার টন সার পরিবহনের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৬ হাজার টন গুদামে পৌঁছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ রকম বেশ কিছু পরিবহন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ঠিক সময়ে সার সরবরাহ না করার অভিযোগ
রয়েছে।

চার ডিলার ৬৬ জনের নামে সার তুলেছেন :বগুড়ায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অনুমোদিত ১৬৩ ডিলার থাকলেও মাত্র ১০-১২ জন সার তুলে বিতরণের ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাঁরা অন্য ডিলারদের নামে বরাদ্দ দেওয়া সার কৌশলে তুলে নিজেদের গুদামে রাখছেন। এমনকি এক উপজেলার নামে বরাদ্দ করা সার অবৈধভাবে অন্য উপজেলায় রাখা হচ্ছে। ফলে কোথাও কোথাও কৃষকরা সার পাচ্ছেন না, আবার অনেক স্থানে সার মিললেও দাম আকাশচুম্বী।

স্থানীয় প্রশাসন সম্প্রতি বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকার এক গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধ মজুত করা ১২ হাজার বস্তা সার জব্দ করে। সারগুলোর মালিক নাজমুল পারভেজ কনক নামে এক ব্যক্তি। তিনি শিবগঞ্জের ডিলার হলেও অন্য ডিলারদের নামে বরাদ্দ করা সার কৌশলে তুলে বগুড়া সদর এলাকায় মজুত করেছিলেন। শহরের পুরান বগুড়া এলাকায় বিসিআইসি বাফার গুদামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাজমুল পারভেজ কনক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে অন্তত পাঁচটি ডিলারশিপ আছে। তবু তিনি আরও ৪১ ডিলারের কাছ থেকে কৌশলে লিখিত অনুমতিপত্র (অথরাইজড লেটার) নিয়ে তাঁদের নামে বরাদ্দ করা সার তুলে নিজের কাছে রাখেন। পাঁচ মাস আগেও গাবতলীর নাড়ূয়ামালা এলাকায় নাজমুল পারভেজ কনকের গুদাম থেকে অবৈধভাবে মজুত করা ৪২০ বস্তা সার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলার পর ৩১ মে কনকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়। এর পরও তিনি সার কারসাজি থামাননি।

বিসিআইসির একটি সূত্র জানায়, কনক ছাড়াও নন্দীগ্রামের একরাম হোসেন ১০ জন, দুপচাঁচিয়ার বিজন কুমার মণ্ডল উৎপল ১২ জন এবং গাবতলীর ইমরান হোসেন রিবন তিন ডিলারের সার কৌশলে তুলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। এই চার ডিলার ৬৬ ডিলারের নামে বরাদ্দ করা সার তুলছেন।
অবৈধভাবে সার মজুতের অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডিলার নাজমুল পারভেজ কনকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি এ ব্যাপারে তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। নন্দীগ্রামের একরাম হোসেন জানিয়েছেন, তিনি তাঁর পরিচিত দু'জন ডিলারের সার তুলে শুধু নির্ধারিত পয়েন্টে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে দুপচাঁচিয়ার বিজন কুমার মণ্ডল উৎপল জানিয়েছেন, তিনি কমিশনের বিনিময়ে উত্তোলন করা সার কয়েকজন ডিলারের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আর গাবতলীর সার ডিলার ইমরান হোসেন রিবন দাবি করেছেন, তিনি তাঁর ভাই ছাড়া অন্য কারও সার তোলেন না।
আছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতা :কুষ্টিয়ার প্রভাবশালী ডিলারদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা। তাঁরা সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও নিশ্চুপ সংশ্নিষ্টরা।

শহরের অনেক ডিলারের গোডাউন ও বিক্রয় কেন্দ্র পর্যন্ত নেই। এর মধ্যে কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজারের ঠিকানায় কাজী এনামুল হকের ডিলারশিপ নেওয়া। এলাকায় সরেজমিন ঘুরে তাঁর দোকান কিংবা গোডাউন খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি স্থানীয় এক সার ও বীজ ব্যবসায়ীর ঘরে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ব্যবসা করছেন। আশিকুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীরও কোনো প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই অবস্থা আরেক ডিলার কেএম এনামুল হকেরও। জগতি রেলবাজার এলাকায় তাঁর পয়েন্ট দেখানো হলে সেখানে ব্যবসা করেন মোস্তাফিজুর রহমান ঘুটু নামে একজন। শহরের কমলাপুর এলাকায় সারের ডিলার মিজানুর রহমানের বাড়ির নিচতলায় সাইনবোর্ড থাকলেও নেই কোনো বিক্রয়কেন্দ্র।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডিলারদের কাছ থেকে সাব ডিলার ও কৃষকরা সার কিনতে গেলে বিক্রির কোনো রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।

কুষ্টিয়ায় সারের নিয়ন্ত্রণ কয়েকজনের হাতে। এর মধ্যে একজন বিএনপির প্রয়াত নেতা সদর উপজেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক একেএম তৌহিদুল ইসলাম বাচ্চু। তিনিসহ তাঁর দুই মেয়ের নামে তিনটি লাইসেন্স আছে। বাচ্চু মারা যাওয়ার পর তাঁর লাইসেন্সটি ভাইয়ের নামে হস্তান্তর করা হয়। তাঁরা নিজেরা কেউ ব্যবসা করেন না। বিএনপি আমলে বাচ্চুর নিয়ন্ত্রণে ছিল সারের ব্যবসা।

জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলতাফ হোসেন ছাড়াও তাঁর স্ত্রী ও ভাইয়ের নামে লাইসেন্স রয়েছে। বড়বাজারের সার ডিলার কাজী এনামূল হক একসময় বিএনপি নেতা ছিলেন। কুষ্টিয়া শহরের গমের ব্যবসা করেন শহিদুল ইসলাম। বাসা শহরের থানা মোড়ে। তিনি স্ত্রী শারমিনের নামে ভেড়ামারায় সারের ডিলার লাইসেন্স করেছেন।
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিউল ইসলামের ছেলের নামে আছে লাইসেন্স। তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নাম মৃত্তিকা এন্টারপ্রাইজ। সদরের কমলাপুর বাজারের ঠিকানায় তাঁদের ব্যবসা। তবে তাঁদের সার তোলেন অন্য এক ব্যবসায়ী। পৌর মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলের নামে শহরের আড়ূয়াপাড়ার ঠিকানায় মেসার্স মাইক্রোডায়মানিক নামে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেওয়া। জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেকারও সারের ডিলার। তিনি সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও। জেলা আওয়ামী লীগের আরেক নেতা আব্দুল লতিফ দীঘার নামেও আছে লাইসেন্স। সদরের ঝাউদিয়া বাজারের ঠিকানায় তাঁর লাইসেন্স নেওয়া থাকলেও ব্যবসা দেখেন তাঁর আত্মীয়রা। মিরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র এনামূল হকের ডিলারশিপ আছে মিরপুর বাজারে।

অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, গোলাম রহমানের বাড়ি কাটাইখানা মোড়ে, দৌলতপুরের খলিসাকুণ্ডিতে তিনি নামমাত্র ব্যবসা করেন। দৌলতপুরের আব্দুস শুকুর মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। স্ত্রী থাকেন দেশের বাইরে। বিদেশ থেকে স্ত্রী খলিসাকুণ্ডি বাজারে সারের ব্যবসা করেন।
দৌলতপুরের বড় গাংদিয়া বাজারে আলমগীর হোসেন ব্যবসা করেন। তাঁর ছেলের নামেও একই বাজারে আছে গ্রিন এন্টারপ্রাইজ নামে ডিলারশিপ। বাবা-ছেলে থাকেন কুষ্টিয়া শহরে। তাঁরা ডিও কেনাবেচা করেন বলেও অভিযোগ আছে।

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের কৃষক আফছার আলী, খয়বর মণ্ডলসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, ওই ইউনিয়নের সার ডিলার শহিদুল ইসলামের পেছনে ঘুরে ঘুরেও সার পাচ্ছেন না তাঁরা। অথচ তাঁর গুদামে অনেক সার মজুত আছে।
দিনাজপুরের অধিকাংশ ডিলারই নিজেরা সার বিক্রি করেন না। তাঁরা তাঁদের বরাদ্দপত্র লেনদেন করেন।

টনক নড়েছে মন্ত্রণালয়ের :'বাজারে সার নিয়ে নৈরাজ্য' শিরোনামে ৪ আগস্ট সমকালের প্রথম পাতায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে দর বাড়ার পর সারাদেশে সিন্ডিকেট করে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তখন কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে, সারের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত মজুত আছে। এরপর একাধিকবার কৃষি মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংকট না থাকার কথা জানিয়েছে। গত মঙ্গলবারও তারা জানিয়েছে, ইউরিয়া সারের মজুত আছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৭ লাখ ৩৬ হাজার টন ও এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন এবং এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বর্তমানে সারের মজুত বেশি বলে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক সারের সংকট নিয়ে খবরে নড়েচড়ে বসেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তদারকি জোরদার এবং নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চাহিদার অতিরিক্ত মজুত আছে। আমরা এখন আগামী বোরো মৌসুমের জন্য সার সংগ্রহ করছি। তারপরও কিছু ডিলার ও অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকি জোরদার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা সারের দাম বেশি নিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন দিনাজপুরের বিপুল সরকার সানি ও নওগাঁর এম আর ইসলাম রতন)




আরও পড়ুন

×