ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

আহমেদিয়া ফাইন্যান্স

কয়েকশ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এমডি, নিঃস্ব ১১০০ গ্রাহক

কয়েকশ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এমডি, নিঃস্ব ১১০০ গ্রাহক

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২২ | ১২:৫৪ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২২ | ১২:৫৪

নৌবাহিনীতে চাকরি শেষে নিজের পেনশনের ৬ লাখ, স্ত্রীর তিন লাখ টকা আহমেদিয়া ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স এমসিএস লিমিটেডে জমা রেখেছিলেন আব্দুল হাকিম। ব্যাংকের চেয়ে বেশি লাভের আশায় আত্মীয়স্বজনের টাকাও এই প্রতিষ্ঠানে জমা রাখেন। ২০১৯ সালে করোনার আগে সব মিলিয়ে তাঁর মাধ্যমে আমানত রাখা হয় ১৫ লাখ টাকা।

শুরুর দিকে ঘোষণা অনুযায়ী লাখে দেড় হাজার টাকা লভ্যাংশ দিলেও কিছুদিন পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনির আহমেদ ওরফে চিটার মনির গা-ঢাকা দেন। ইব্রাহিমপুরের ৮২/২ হোল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় আহমেদিয়া ফাইন্যান্সের অফিস।

এখন লাভের চিন্তা বাদ দিয়ে আসল টাকা উদ্ধারে পথে পথে ঘুরছেন আহমেদিয়া ফাইন্যান্সের প্রায় ১১০০ গ্রাহক। টাকা উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা।

বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে গিয়াস উদ্দিন এ দাবি করেন। এ সময় শতাধিক গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, সর্বনিম্ন দুই লাখ থেকে শুরু করে এক কোটি টাকা পর্যন্ত জামানত রেখেছেন অনেকে। গ্রাহকদের কয়েকশ কোটি টাকা আটকে আছে এই প্রতিষ্ঠানে। মনির আহমেদসহ অন্যরা প্রতি লাখে ১৫শ টাকা মাসে লাভ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন। বেশি টাকা লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় ২০১৯ সাল থেকে গ্রাহকরা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। প্রথমদিকে লাখে দেড় হাজার টাকা লাভ দেওয়া হলেও কয়েক মাস পর কমিয়ে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের দিকে লভ্যাংশ বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

গ্রাহকরা জানান, অনেকে ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেনে টাকা রাখলেও পরে তাঁরা জানতে পারেন, সমবায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা আসল টাকা উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও সমবায় অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখা টাকা সরিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান করেছেন মনির আহমেদ।

আহমেদিয়া ফাইন্যান্সের এমডি মনির আহমেদ ফোন ধরেননি। জিএম সাইফুল ইসলাম ফোন ধরলেও সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তা কেটে দেন। এর পর একাধিকবার ফোন করা হলেও আর ধরেননি।

আরও পড়ুন

×