দ্বিপাক্ষিক বিষয় সমাধানে আগ্রহী মিয়ানমার
সাক্ষাতকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে সৌজন্য উপহার প্রদান করেন মিয়ানমারের ব্যুরো অব স্পেশাল অপারেশন এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফোঁ মিয়াত। ছবি: আইএসপিআর
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ১১:০০ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ১১:০০
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার সেনা সদর দপ্তরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশ সফরত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যুরো অব স্পেশাল অপারেশন-এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফোঁ মিয়াত তার দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
সাক্ষাতকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময় ছাড়াও প্রতিনিধি দলটি নিজ দেশের পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করেন। বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রেখে নিজ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা একটি আঞ্চলিক সমস্যা। দীর্ঘদিন এই জনগোষ্ঠিকে স্থান দেওয়ায় সৃষ্ট নিরাপত্তা-ঝুঁকি দূরীকরণের লক্ষ্যে তিনি দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।মিয়ানমারের প্রতিনিধি নিজ দেশের প্রগতি ও নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান। বাংলাদেশের সঙ্গে মিত্রতা ও অধিকতর যোগাযোগের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বিষয় সমাধানে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্ক উন্নয়ন, উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত যৌথ আলোচনা, প্রশিক্ষণ বিনিময়, সম্মিলিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাসঙ্গিক তথ্য বিনিময়সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এরপর মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিনিময় ও মান উন্নয়নে সহযোগিতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবেলায় সহযোগিতার বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোকপাত করেন। এ সময় তিনি সীমান্ত এলাকায় সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। সন্ত্রাসীরা কোনো দেশের পক্ষেই কাজ করেনা বলে মন্তব্য করেন। এছাড়াও চিফ অব জেনারেল স্টাফ দুই দেশের সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময়ের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। সীমান্ত এলাকায় শান্তি রক্ষার জন্য উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এক সঙ্গে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে উভয় সেনাবাহিনীর সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। সামরিক বিষয়াদি আরো সহজতর হবে বলে আশা করা যায়।