শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৯:১৪ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৯:১৪
উচ্চ আদালতের আদেশ ও সরকারের নির্দেশনা থাকলেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেগুলোতেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। পাঁচ সদস্যের কমিটিতে নারী সদস্যের সংখ্যাও কম বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে।
এ পরিস্থিতিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো কমিটি নেই, সেগুলোতে দ্রুত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, কমিটিতে নারী সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে হবে। সম্ভব হলে নারী সভাপতি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সব আঞ্চলিক পরিচালককে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।রোববার মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এ নির্দেশ দেন।
নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব অফিস এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, কিছু অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি, যা আদালত অবমাননার শামিল। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত পরিচালনা এবং সুপারিশ করার জন্য কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সৎ, দক্ষ এবং সক্রিয় সদস্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে; কমিটির দু'জন সদস্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে জেন্ডার ও মানবাধিকার বিষয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটি অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখবে। অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবে। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ এ সময়সীমা ৩০ কর্মদিবস থেকে ৬০ কর্মদিবস বাড়াতে পারবে। প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বক্স থাকবে।
আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি গঠন নিশ্চিত করা না হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমিটি গঠনে তদারকির বিষয়টি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করবেন।