এখনও মুছাব্বিরসহ দুই নেতার সন্ধান মেলেনি: বিএনপি

ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুছাব্বির। ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:০৮ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:১৭
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুছাব্বির ও নেত্রকোনার তেলিগাতি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আতাউর রহমানের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। মুছাব্বিরের পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। দুজনকে খুঁজে না পাওয়ার কথা সমকালকে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
গত বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু এছাড়াও অনেক নেতাকর্মীর সন্ধান মিলছে না বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। এর মধ্যে আরও অনেকে রয়েছেন। তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে প্রিন্স জানান।
আজিজুর রহমান মুছাব্বিরের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘গত বুধবার সংঘর্ষের পরের দিন উত্তরার একটি হাসপাতাল থেকে মুছাব্বিরকে পুলিশ আটক করে।’ ওইদিন দুপুরে তিনি তেজগাঁও থানায় মুছাব্বিরের জন্য খাবার দেন বলেও জানান। সন্ধ্যায় ১২ বছরের ছেলে সম্রাট থানার মধ্যে মুছাব্বিরকে কাপড়-চোপড় দেয় বলেও দাবি করেন স্ত্রী সুরাইয়া। তিনি বলেন, ‘পরে আবার রাতে খাবারও দেওয়া হয়। কিন্তু পরেরদিন শুক্রবার থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশও স্বীকার করছে না, আদালতেও হস্তান্তর করা হয়নি এখন পর্যন্ত।’
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আজিজুর রহমান নামের কাউকে আমরা আটক করিনি। থানায় এসে তাঁর সঙ্গে স্ত্রী দেখা করার যে কথা বলছেন, সেটাও সঠিক নয়।’
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের নেতা আতাউর রহমান সংঘর্ষের ঘটনার দিন থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাকেও আটক কিংবা আদালতে নেওয়ার কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি বলে এমরান সালেহ প্রিন্স জানান। তিনি জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মূলত এখন একটি ধ্বংসস্তুপ। তাদের দাপ্তরিক কাজের সব কম্পিউটার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ কারণে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র সারাদেশে কত মামলা, গ্রেপ্তার হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যন তাদের কাছে নেই। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মামলা-হামলার সেলের কম্পিউটার পুলিশ জব্দ করায় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের দিন এই সেলের দায়িত্বে থাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তা সেলিমকেও পুলিশ আটক করে। এছাড়া দপ্তরের দায়িত্বে থাকা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ কারণে মামলা সংক্রান্ত কোনো তথ্যই এখন নেই। তবে তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর সোমবার বিকেল থেকে এসব তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘দলের নির্বাহী সদস্য সাত্তার পাটোয়ারী সারাদেশে নেতাকর্মীদের খোঁজ নিচ্ছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তালিকা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’