ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ভুয়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নামে জমি কেনা-বেচা নয়

ভুয়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নামে জমি কেনা-বেচা নয়

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৮:৫০ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৮:৫০

এখন থেকে ভুয়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি রোধেও কার্যক্রর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ লক্ষে এরই মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় ও সরকারের 'যৌথ-মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) মধ্যে চুক্তি হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

চুক্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির ও আরজেএসসির নিবন্ধক শেখ শোয়েবুল আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেছেন।

সূত্র জানায়, কাগুজে কিংবা ভুয়া যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্ম দেখিয়ে সেসব কোম্পানির নামে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে বেআইনি কাজ করার অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়। এ ছাড়া অনেকে সময় দেখা যায় বাণিজ্যিক কিংবা শিল্পের কাজে ব্যবহূত জমির ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে দলিলে আবাসিক ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত জমি দেখিয়ে তাতে লাভজনক বৃহৎ ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে। এর ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন ভূমিসেবা যেমন ই-নামজারি কিংবা ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনায় আরজেএসসি এখতিয়ারভুক্ত কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের প্রযোজ্য তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ হওয়ার ফলে এখন ভুয়া ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হবে। ফলে সরকারের কোষাগারে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ অতিরিক্ত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব জমা হবে।

প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে এবং প্রয়োজন হলে তা পুণ:নির্ধারন করা হয়। ২০১৫ সালে সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর পুণ:নির্ধারণ করা হয়েছিল। ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণের মূল ভিত্তি জমির ব্যবহারের ধরন।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×