ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স: আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স: আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৬ | ০৬:৫৯ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৬ | ০৭:১০

দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় সংশোধন ও পরিমার্জন করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন। 
 
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির দেয়া এ রায়ে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম ঠিক করে দেয়া হয়। খবর বাসসের
 
রায়ে যা আছে:
১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে।
 
২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন।
জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন।
 
৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে।  
 
রায়ে বলা হয়, সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে।
 
রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার হয় না।
 
রায় দেয়া অন্য বিচারকরা হচ্ছেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞা, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক।
 
এর আগে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে সংক্ষিপ্ত রায় দেয়া হয়। ৬২ পৃষ্ঠায় দেয়া এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। এর আগে রায় প্রদানকারী বিচারকরা রায়ে স্বাক্ষর করেন।
 
রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেয়। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। 
 
২০১৫ সালে ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় সংশোধন ও পরিমার্জন করে সংক্ষিপ্ত রায় দেয় আপিল বিভাগ।
 

আরও পড়ুন

×