ঢাকা শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তামাক চাষ চলতে থাকলে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

তামাক চাষ চলতে থাকলে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩ | ১৮:৩৯ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ | ১৮:৪০

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘দেশে প্রতিবছর ২৫ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়। এভাবে খাদ্য উৎপাদনের জমিতে তামাক চাষ চলতে থাকলে দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতি ঠেকাতে এখনই তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে একটি টেকসই পরিকল্পনা করা জরুরি।’

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে অ্যালায়েন্স ফর এফসিটিসি ইম্পলিমেন্টেশন বাংলাদেশ (এএফআইবি), ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট টোব্যাকো (ক্যাট) ও মাদকদ্রব্য ও নেশা বিরোধী কাউন্সিল (মানবিক) যৌথভাবে এই 

আলোচনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক উপদেষ্টা এবং এএফআইবির সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. মোজাহারুল হক। 

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, কভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট বাড়ছে। তামাক চাষ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া বৈশ্বিক পরিবেশগত ক্ষতির অন্যতম কারণ। বর্তমানে একটি অর্থকরী ফসল হিসাবে ১২৫টির বেশি দেশে তামাক উৎপাদন হয়। সারাবিশ্বে আনুমানিক ৪০ লাখ হেক্টর কৃষিজমিতে তামাক উৎপাদন হচ্ছে। আর এই তামাক চাষের ফলে সাধারণত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক ব্যাপক ক্ষতি হয়।’ 

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মোজাহারুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর দেশে তামাক ব্যবহারের কারণে প্রায় চার লাখ লোক নানা অসুস্থতায় পঙ্গুত্বের শিকার হয়। এ ছাড়া প্রতিবছর তামাক ব্যবহারের ফলে ১২ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত প্রধান আটটি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর ফলে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অন্যদিকে তামাক চাষের জন্য দুষ্প্রাপ্য আবাদি জমি ও পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। তামাক উৎপাদনের জন্য জায়গা তৈরি এবং তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাতের জন্য জ্বালানি তৈরি করতে হাজার হাজার হেক্টর জমির কাঠ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এএফআইবি’র যুগ্ম সমন্বয়ক ইবনুল সাঈদ রানা ও বিশিষ্ট অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। এর আগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সহকারী সচিব রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাট সভাপতি আসলাম শিহির, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী আশরাফুল আলম পপলু ও দৈনিক বর্তমান সম্পাদক নাজমুল হক সরকার প্রমুখ।

/ওয়াইএ/

আরও পড়ুন

×