ঢাকা রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অর্থমন্ত্রী তামাকপণ্যের দাম নিজেই বাড়িয়ে দেন: সাবের হোসেন

অর্থমন্ত্রী তামাকপণ্যের দাম নিজেই বাড়িয়ে দেন: সাবের হোসেন

সাবের হোসেন চৌধুরী

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩ | ১৭:০৬ | আপডেট: ২০ জুন ২০২৩ | ১৭:১১

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, করারোপের ফলে বাজেটের পর অনেক পণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী তামাকপণ্যের দাম নিজেই বাড়িয়ে দেন। এর মাধ্যমে তিনি তামাক কোম্পানিকে মুনাফা করার সুযোগ করে দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, তামাকের ওপর কর আরোপ করতে চাইলে এমনভাবে করতে হবে যেন তার পুরোটাই সরকার পায়।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, তামাক নিয়ে প্রতি বছর বাজেটের সময় আমি কথা বলি, কিন্তু কোনো ‍উত্তর পাই না। তামাকের বিষয়ে কী করছেন, অর্থমন্ত্রী যদি একটা ব্যাখ্যা দিতেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ প্রতি বছর মৃত্যুবরণ করে তামাকের কারণে। এই তামাকপণ্য যারা তৈরি করেন প্রতি বছর কেন তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। 

তিনি আরও বলেন, তামাক থেকে রাজস্ব পাওয়া যায় ২২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর পেছনে খরচ হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। তামাকের ওপর আরোপিত সারচার্জ থেকে তিনশ কোটি টাকা আসে। এর মধ্যে মাত্র ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয় তামাক নিয়ন্ত্রণে।

জাতীয় সংসদের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন বলেন, জলাবায়ু পরিবর্তন সারা বিশ্বের জন্য অস্তিত্বের সংকট। এটা এখন দৃশ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং সংকট। বাংলাদেশ আগামীতে কতটা এগোতে পারবে সেটা নির্ভর করবে জলবায়ুর বিষয়টি আমরা কীভাবে মোকাবিলা করছি তার ওপর। এ অর্থ বছরের (২০২৩-২৪) বাজেটে ৩৭ হাজার কোটি টাকার একটি বরাদ্দ রয়েছে। ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যে কাজ করবে তা তদারকি করবে সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। মানুষের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা অতীতে কোনো সরকার করেনি।

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ১৩ বছর আগে ২০১০ সালে যখন জলবায়ু নিয়ে কেউ সেভাবে কথা বলতেন না, তখন বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছে। এভাবে প্রতিটি নীতিতে আমাদের একটি অবদান রয়েছে। আমরা এত বছর লড়াই করছি কপ-২৭ (লস অ্যান্ড ড্যামেজ) নিয়ে, সেটার বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যেসব উন্নয়নশীল দেশ রয়েছে, তাদের একটি নেতৃত্ব আমরা বিশ্ব পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমরা যে টেকসই উন্নয়নের কথা বলি, এটা কিন্তু ভাবতে হবে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে।







আরও পড়ুন

×