- বাংলাদেশ
- 'আপাতত' কোটা সংস্কার নয়
'আপাতত' কোটা সংস্কার নয়

শিক্ষার্থীরা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করলেও 'আপাতত' কোনো পরিবর্তন আসছে
না সরকারি চাকরির 'কোটা' পদ্ধতিতে। নির্বাচনের বছরে এসে 'স্পর্শকাতর' এ
ইস্যুতে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইছে না। তাই বিদ্যমান সব কোটাই বহাল
থাকছে। কোটা কমানো বা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনাও নেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের।
নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে আন্দোলনের কারণেই কোটা কার্যকরের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে।
যেমন- সব ধরনের সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না
গেলে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে সেসব পদ পূরণ করা
হবে। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান
স্ব্বাক্ষরিত এক আদেশে এ কথা জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে
আলাপকালে এই সিনিয়র সচিব বলেন, 'কোটার শূন্য পদ মেধাতালিকার শীর্ষে
অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করার সিদ্ধান্ত সবার জন্য একটি
গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা। এতে মেধার মূল্যায়ন হবে, কোটা পদ্ধতির সম্মানও
অক্ষুণ্ণ থাকবে।' ড. মোজাম্মেল বলেন, 'কেউ ভাবতে পারেন, মুক্তিযোদ্ধাদের
কোটা সংস্কার হয়ে গেছে বা মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব কম দেওয়া হচ্ছে। অথবা
অন্য কোনো পশ্চাৎপদ শ্রেণিকে কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে- এটি সঠিক নয়। তাদের
জন্য পদ সংরক্ষিত রয়েছে ও থাকবে। তবে কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া
গেলেই শুধু মেধাতালিকার ওপরের দিক থেকে সেখানে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে।'
তিনি জানান, এর আগেও বিভিন্ন সময় এভাবে কোটা পূরণ করা হতো। বিষয়টি আলোচনায়
এসেছে বলে বার বার ফাইল চালাচালি যাতে আর না করতে হয়, সেই ব্যবস্থা করা
হয়েছে।
এদিকে কোটা সংস্কার সংক্রান্ত পাঁচ দফা দাবির ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে আগামী
১৩ মার্চ পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। 'সাধারণ
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের' ব্যানারে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা
সংস্কারের পাঁচ দফা দাবিতে গত দেড় মাস ধরে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। সর্বশেষ গত ৪ মার্চ রাজধানীর শাহবাগে
মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশ থেকে ১৩ মার্চের মধ্যে দাবিগুলো আদায়
না হলে ১৪ মার্চ সারাদেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও কেন্দ্রীয়ভাবে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি দেওয়া হয়।
কোটার শূন্য পদ মেধাতালিকা থেকে পূরণের সরকারি সিদ্ধান্তের পরও এ কর্মসূচি
বহাল থাকবে কি-না জানতে চাইলে 'সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের' যুগ্ম
আহ্বায়ক ফারুক হোসেন সমকালকে জানান, তাদের পাঁচটি দাবির একটি পূরণ হয়েছে।
বাকি চারটি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটায় সুবিধা পাচ্ছেন ৫৬ শতাংশ আবেদনকারী।
কিন্তু বাকি ৪৪ শতাংশ সাধারণ শিক্ষার্থীকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি
হতে হচ্ছে।
তথ্য বিশ্নেষণে দেখা গেছে, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে এক দশমিক ১০ শতাংশ
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ ভাগ, এক দশমিক ৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষের
জন্য এক ভাগ, ১৩ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা পোষ্যদের জন্য ৩০ ভাগ, নারীদের জন্য ১০
ভাগ কোটা ছাড়াও জেলা কোটায় ১০ ভাগ নিয়োগ হয়। এ হিসাবে মোট ৫৬ শতাংশ নিয়োগই
হচ্ছে কোটার মাধ্যমে। এসবের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না
পাওয়া গেলে সেসব পদ শূন্য রাখা বা সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ ধরনের
পদ্ধতিকে 'বৈষম্যমূলক' অভিহিত করে এর সংস্কার দাবি করেছেন সাধারণ
শিক্ষার্থীরা।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমালোচনা করে 'আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান' সংগঠনের
কেন্দ্রীয় সভাপতি হুমায়ুন কবীর সমকালকে বলেন, বর্তমান কোটা পদ্ধতি যৌক্তিক।
যারা আন্দোলন করছেন, তাদের আন্দোলনের 'ধরন' দেখে মনে হচ্ছে তাদের ভিন্ন
কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। এটি একটি মুক্তিযোদ্ধাবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।'
চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন : সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার
বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের
ধারাবাহিকতায় গত ১৭ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এর পর ৪
মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারীরা ১৩ মার্চ পর্যন্ত সরকারকে
কোটা সংস্কারের সময়সীমা বেঁধে দেন। আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে
রয়েছে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নিয়ে আসা, কোটায়
যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদসমূহে মেধায় নিয়োগ দেওয়া, কোটায়
কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না রাখা, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার
জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা
একাধিক বার ব্যবহার না করা।
আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসান আল মামুন
সমকালকে বলেন, সিভিল সার্ভিসে যোগ্যতা ছাড়াও শুধু কোটার কারণে কিছু মানুষ
নিয়োগ পাচ্ছে। এটা লাখ লাখ বেকারের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। তিনি জানান,
তারা কোটার বিরুদ্ধে নয়, কোটা থাকুক। তবে সেটা ১০ শতাংশের বেশি নয়। তিনি
বলেন, 'আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে কোটা সংস্কারের দাবি আদায় না হলে ১৪ মার্চ
বেলা ১১টায় সারাদেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ও ঢাকায় জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।'
সরকার যা ভাবছে :সম্প্রতি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এক আলোচনা সভায়
সরকারের প্রতি আহ্বান জানান- মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা লিখিত পরীক্ষায় পাস
করলেই তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হোক। তিনি বলেন, 'আগামী ২০ বছর পর
বাংলাদেশে হয়তো গুটিকয়েক মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন। তখন তারা মুক্তিযোদ্ধার
চেতনা সমুন্নত রাখতে পারবেন না। সে কারণে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত থাকে, সে
জন্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা চালু করেছেন।'
নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, 'দেশে পুলিশ ও বিভিন্ন বিভাগে এখনও রাজাকারদের
সন্তান খুঁজে পাওয়া যায়। স্বাধীনতাবিরোধী এ গোষ্ঠীর সন্তানদের নিয়ে প্রশাসন
চালানো যায় না। তাদের দিয়ে প্রশাসন চললে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস
ধ্বংস হয়ে যাবে।'
সম্প্রতি নার্স ও মিডওয়াইফ (ধাত্রী) নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা
শিথিল করা হয়। চার হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ৬০০ ধাত্রী নিয়োগ করার জন্য
মুক্তিযোদ্ধা কোটা এককালীন শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছিল স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন হয়।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিভিন্ন নিয়োগে জেলা, নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা
সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। অর্থাৎ এসব পদে উপযুক্ত
প্রার্থী না পাওয়া গেলে তা শূন্য রাখা বা সংরক্ষণ করার নিয়ম নেই। তবে
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেসব পদ শূন্য রাখা বা
সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে মন্ত্রিসভার। ২০১০ সালে মন্ত্রিসভা এ
সিদ্ধান্ত নেয়।
অভিযোগ উঠেছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের কারণে অনেক পদ শূন্য থাকছে। এ
সংকট কারিগরি ও পেশাগত বিসিএসে প্রকট আকার ধারণ করেছে। সাধারণ বিসিএসেও
অনেক পদ শূন্য থাকছে। এর আগে ৩৪তম বিসিএস ও ৩৫তম বিসিএসের জন্য কোটা শিথিল
করা হয়েছিল। এমনকি গত বছর মুক্তিযোদ্ধা কোটা শিথিল করে প্রায় ১০ হাজার
সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন সরকারি
হাসপাতালের তীব্র নার্স সংকট কাটিয়ে উঠতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবারও
দ্বিতীয় শ্রেণির চার হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্সের সঙ্গে ৬০০ ধাত্রী নিয়োগ
দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য :কোটা পদ্ধতির সংস্কার করা হবে
কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সমকালকে এ
ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ
দেন।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান সমকালকে বলেন,
'সংবিধানের আলোকে অনগ্রসর এলাকার মানুষের চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সব
ধরনের কোটা সংরক্ষণ করে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এতে মেধাবীদের অসুবিধা হওয়ার
কথা নয়। যারা আন্দোলন করছেন, তারা হয়তো না বুঝেই করছেন।'
গতকাল সাংবাদিকদের কাছে নিজ দপ্তরে মোজাম্মেল হক খান আরও বলেন, সরকার কোটা বাতিল বা কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কোটা বহাল রয়েছে।
সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক সমকালকে বলেন,
পিএসসি সরকারের প্রণীত আইন অনুসরণ করে। কোটা সংস্কারের বিষয়ে কমিশনের করণীয়
কিছু নেই।
পিএসসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কোটা নির্ধারণ,
পুনর্নির্ধারণ, বাতিল ইত্যাদি পিএসসির এখতিয়ারভুক্ত নয়। কোটা নির্ধারিত হয়
সরকারের নির্বাহী সিদ্ধান্তে। তাই এ বিষয়ে তাদের করণীয় কিছু নেই।
কোটার প্রয়োগ যেভাবে শুরু :অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে
সরকারি কর্মচারী নিয়োগে মাত্র ২০ ভাগ ছিল মেধা কোটা, ৪০ ভাগ জেলা কোটা, ৩০
ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা আর ১০ ভাগ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত নারী কোটা। ১৯৭৬ সালে
এই কোটা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে মেধা কোটায় বরাদ্দ হয় ৪০ ভাগ, জেলা কোটায়
২০ ভাগ। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আগের মতোই ৩০ ভাগ পদ রাখা হয়। ১৯৮৫ সালে এ
ব্যবস্থা আবারও বদলানো হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মেধার
ভিত্তিতে ৪৫ ভাগ, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ ভাগ, জেলা কোটায় ১০ ভাগ, নারীদের
জন্য ১০ ভাগ এবং প্রথমবারের মতো উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ ভাগ
পদ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রতিবন্ধীদের জন্য এক ভাগ কোটা বরাদ্দ রাখা
হয়।
'যোগ্য প্রার্থী' না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন বিসিএসে অনেক ক্যাডার পদ শূন্য
থাকছে। চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও কৃষি কর্মকর্তার মতো কারিগরি ক্যাডারে
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আদিবাসী তুলনামূলকভাবে কম বলে জানা গেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের যুক্তি :কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা
বলছেন, তাদের আন্দোলন শতভাগ যৌক্তিক। কোটা থেকে সরকারি চাকরিতে
প্রয়োজনীয়সংখ্যক যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের বক্তব্য, তারা
বিশ্বাস করেন যে, প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে পারলে বাস্তবসম্মত
সিদ্ধান্ত দেবেন।
আন্দোলনকারীদের মতে, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ নিয়োগ হয় কোটার ভিত্তিতে, ৪৪
শতাংশ হয় মেধার ভিত্তিতে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পোষ্য ও আদিবাসী কোটায়
অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষার্থী মেলে না। প্রতি বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে গড়ে
৫০০ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু অংশ নেন সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, কোটা পদ্ধতির কারণে কেউ যদি সাড়ে তিন লাখ
পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২৬তম হন, তা হলে তিনি চাকরি না-ও পেতে পারেন। কারণ ৫০০
পদের মধ্যে মেধা কোটায় ২২৫ জন চাকরি পাবেন। অন্যদিকে কোটার কারণে কেউ সাত
হাজারতম হয়েও চাকরি পেতে পারেন। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ২৮ থেকে
৩৫তম বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে পাঁচ হাজার পদ শূন্য রয়ে গেছে। শুধু কোটার
শূন্য পদ পূরণ করতে মুক্তিযোদ্ধা, আদিবাসী ও নারীদের জন্য ৩২তম বিশেষ
বিসিএস নেয় পিএসসি। অথচ এই বিশেষ বিসিএসেও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৮১৭টি, নারী
১০টি, উপজাতির ২৯৮টিসহ মোট এক হাজার ১২৫টি পদ শূন্য থেকে যায়।
মন্তব্য করুন