ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | ০৩:২৫ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | ০৩:৩১

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তারা।

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানো শেষে সর্বস্তরের মানুষ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরাও শ্রদ্ধা জানান।

বছর ঘুরে পঞ্জিকায় আজ এসেছে ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বুদ্ধিজীবী নিধনের মর্মন্তুদ-স্মৃতিঘেরা দিন। বাঙালির মেধা-মনন-মনীষাশক্তি হারানোর দিন আজ। ইতিহাসের পাতায় কালো আখরে উৎকীর্ণ বেদনাবিধুর কৃষ্ণপক্ষ আজ। ৪৭ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা মেতে উঠেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যাযজ্ঞে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে জাতি যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই ১৪ ডিসেম্বরের সেই কালরাতে বাঙালি মেধার নৃশংস এই নিধনযজ্ঞ চলে, যা হতবিহ্বল করে তুলেছিল বিশ্বকে।

১৪ ডিসেম্বরকে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞের দিন হিসেবে স্মরণ করা হলেও মূলত ১০ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয় ধিক্কারজনক এই কর্মকাণ্ড। সপ্তাহজুড়ে এদের তালিকায় একে একে উঠে আসে অসংখ্য বুদ্ধিদীপ্ত সাহসী মানুষের নাম। পরে কৃতী এসব সন্তানের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর দোসর কুখ্যাত আলবদর ও আলশামস বাহিনীর হাতে। নেপথ্যে ছিল পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা রাও ফরমান আলী। রাতের আঁধারে তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে চোখ বেঁধে রায়েরবাজার ও মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি ও খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। চূড়ান্ত নীলনকশার বাস্তবায়ন ঘটে ১৪ ডিসেম্বর।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা আজও নিরূপণ করা যায়নি। তবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ জন শিল্পী-সাহিত্যিক-প্রকৌশলী।

আরও পড়ুন

×