ডাকসু নির্বাচন
ছাত্রীরাই এগিয়ে দিয়েছে নুরকে
জয়-পরাজয়ের নেপথ্যে
সাব্বির নেওয়াজ ও ইমাদ উদ্দিন মারুফ
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০১৯ | ১৯:২৫
পাঁচ ছাত্রী হলের ভোটই নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়
ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল। সহসভাপতি বা ভিপি পদে নুরুল হক
নুরকে বিপুলভাবে বিজয়ী করেছেন ছাত্রীরা। হল সংসদে ছাত্রলীগ নিরঙ্কুশ বিজয়
অর্জন করলেও মেয়েদের পাঁচটি হলের মধ্যে চারটিতেই হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি)
নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নুরও এ হলগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন। ছাত্রী হলের মধ্যে কেবল বেগম রোকেয়া
হলের ভিপি ছাত্রলীগের। ছাত্রলীগ ডাকসুর ২৫টি পদের ২৩টিতেই জয়ী হয়ে বিজয়ের
নিশান ওড়ালেও কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম 'সাধারণ ছাত্র অধিকার
সংরক্ষণ পরিষদে'র প্রার্থী নুরুল হক নুরের বিজয় তাদের জন্য বিস্ময় হয়েই ধরা
দিয়েছে।
নির্বাচনে ১৮টি হলে ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে ১৩টি হল ছাত্রদের। বাকি ৫টি হল
মেয়েদের। মেয়েদের হলে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের প্রভাব খুবই কম। ছেলেদের হলে
ভোটের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও মেয়েদের হলে ব্যর্থ
হয়। কাজেই মেয়েরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। এরসঙ্গে নুর
ছেলেদের হলগুলোতেও ছাত্রলীগ প্রার্থী শোভনের সঙ্গে সমানতালে ভোট পেয়েছেন।
রাশেদ ও ফারুক মেয়েদের হলে এগিয়ে থাকলেও অন্য হলগুলোতে নিয়ন্ত্রণের কারণে
পিছিয়ে গেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, শোভনের চেয়ে রাব্বানী ও
সাদ্দাম তুলনামূলক জনপ্রিয় হওয়াতে ছেলেদের হলে তারা অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন।
ক্যাম্পাসে নিষ্ঠাবান, ভদ্র ও ক্লিন ইমেজের ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত
ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের পরাজয় তাদের জন্য নিঃসন্দেহে
বড় ধাক্কা। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, গত বছরের কোটাবিরোধী আন্দোলন নুরের প্রতি
সাধারণ ভোটারের সহানুভূতি কেড়েছে। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর দুই ভিপি
প্রার্থীর মধ্যে ছাত্রদলের মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন ক্যাম্পাসে অনেকটাই
অপরিচিত মুখ। সঙ্গত কারণেই সাধারণ ভোটারদের মাঝে তিনি ও তার প্যানেল কোনো
সাড়া ফেলতে পারেনি। ডাকসু ও হল সংসদের একটি পদেও তারা বিজয়ী হতে পারেননি।
বাম ঘরানার ছাত্র সংগঠনগুলোর 'প্রগতিশীল ছাত্রজোটে'র ভিপি প্রার্থী লিটন
নন্দী ক্যাম্পাসে জনপ্রিয় হলেও আবাসিক হলগুলোতে এই সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক
শক্তি খুবই দুর্বল। এসব কারণেই নির্বাচনের ফল নির্ধারণে তিনি বড় ফ্যাক্টর
হতে পারেননি।
দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনায় থাকা ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর এখন
এর ফল নিয়ে সর্বত্র চলছে নানা বিচার-বিশ্নেষণ। চলছে বিভিন্ন প্যানেল ও
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের আলোকে নানা হিসাব-নিকাশ। বিজয়ী ও
পরাজিত প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত ও অভিমত।
তবে নির্বাচনের ফল যাই হোক, কার্যকর ডাকসুর প্রত্যাশা করেছেন প্রার্থী,
ভোটার, শিক্ষকসহ সবাই। সোমবারের নির্বাচনের মাধ্যমে ২৮ বছর ১০ মাস পর ডাকসু
পেল নির্বাচিত নতুন প্রতিনিধি। প্রায় তিন দশকের অচলায়তন কেটে গিয়ে ডাকসু ও
হল সংসদের যাত্রা শুরু হলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোটের দৌড়ে সবাইকে পেছনে
ফেলেছেন বিজয়ী এজিএস ও ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।
ডাকসুতে তিনিই পেয়েছেন সর্বোচ্চ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে তিনগুণ
বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ীর হাসি হেসেছেন তিনি। এফ রহমান হলের ছাত্র সাদ্দাম
হোসাইন পেয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন মাত্র ৫
হাজার ভোট। ডাকসুতে সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঢাবি নাট্য সংসদের
সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ। তিনি ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে সদস্য পদে
বিজয়ী হন।
সোমবার মধ্যরাতে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে
ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী
ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পেয়েছেন ৯ হাজার ১২৯ ভোট।
অন্যদিকে, জিএস পদে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ১০
হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার
সংরক্ষণ পরিষদের রাশেদ খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩ ভোট। এ ছাড়াও এজিএস পদে জয়ী
হয়েছেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম
হোসাইন; তার ভোট সংখ্যা ১৫ হাজার ৩০১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ফারুক হাসান পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৯৬ ভোট।
নির্বাচনে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদকের পদ ছাড়া জিএস ও এজিএসসহ মোট ২৫টি পদের
২৩টিতেই জয় পায় ছাত্রলীগ। ভিপি পদে ছাত্রলীগের রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে ১
হাজার ৯৩৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করলেও অন্য শীর্ষ দুটি পদে (জিএস ও এজিএস)
বিশাল ব্যবধানে জয় পায় ছাত্রলীগ। জিএস পদে গোলাম রাব্বানী রাশেদ খানকে
৪৪২১ ভোটে এবং এজিএস পদে সাদ্দাম হোসাইন ফারুক হাসানকে ৯ হজার ৪০৫ ভোটের
ব্যবধানে পরাজিত করেন। এ বিপরীতমুখী জয়-পরাজয় ও ব্যবধান নিয়ে একেকজন
দিয়েছেন একেক ব্যাখ্যা।
অনেকে মনে করছেন, নুরের ভিপি পদে জয়লাভ করা মূলত তার যোগ্যতারই বহিঃপ্রকাশ।
এ পদ তারই প্রাপ্য ছিল। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক
কর্মকাণ্ডে তার ভূমিকা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এজন্য দলমত-নির্বিশেষে
শিক্ষার্থীরা তাকে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে শোভন যথেষ্ট যোগ্য হলেও সাধারণ
ছাত্রদের ভোট তেমন পাননি। অন্যদিকে জিএস ও এজিএস পদে রাশেদ ও ফারুকের চেয়ে
তুলনামূলকভাবে রাব্বানী ও সাদ্দাম যোগ্যতর বলেই তারা জয়ী হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যোগ্য প্রার্থীদেরই শীর্ষ পদগুলোর জন্য বাছাই
করেছেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম
রবিন সমকালকে বলেন, ডাকসুর প্রধান তিন পদে যারা জয়ী হয়েছেন, তারা
নিঃসন্দেহে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে যোগ্য প্রার্থী ছিলেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন :কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে গতকাল আলাপকালে তারা
জানান, গত এক বছরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। কোটার
আন্দোলনে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনের কথা বলতে পেরেছেন। তবে এই
প্যানেলের নুরুল হক নুর বাদে শীর্ষ অন্য নেতারা বিজয়ী না হওয়ার কারণ হিসেবে
তারা বলছেন, রাশেদ ও ফারুকের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ ছিল। ফলে কোটাবিরোধী
আন্দোলন জনপ্রিয় হলেও তারা তেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি। অন্যদিকে
ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী শোভন যোগ্যতায় কোনোভাবেই পিছিয়ে না থাকলেও নুরের
জনপ্রিয়তার কাছে তিনি কিছুটা পিছিয়ে গেছেন। আর বিজয়ী জিএস গোলাম রাব্বানীকে
অনেকে 'মানবতার ফেরিওয়ালা' বলে সম্বোধন করেন। এজিএস সাদ্দাম হোসাইনকে দক্ষ
সংগঠক ও সুবক্তা হিসেবেই জানেন ক্যাম্পাসের সবাই। রাব্বানী ও সাদ্দামের
এসব গুণাবলি এবং অন্যদিকে রাশেদ ও ফারুকের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের কারণে
তুলনামূলকভাবে তারা পিছিয়ে গেছেন।
অবশ্য কলা অনুষদের একটি বিভাগের শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সুষ্ঠুভাবে হলে ডাকসুতে শুধু নুর আর আখতার না, জিতত
কোটা আন্দোলনের আরও অনেকে। তবে ছাত্রলীগের হল পর্যায়ের একাধিক নেতা সমকালের
কাছে দাবি করেন, ডাকসুর শীর্ষপদে তারা যেতে পারেননি কয়েকটি কারণে।
গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে নির্বাচনের দিন নানা অপপ্রচার চালানো হয়েছে
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। প্রতিটি হলে সংঘবদ্ধভাবে তারা সেভাবে প্রচারণা চালাতে
পারেননি। অনেক ক্ষেত্রেই ঢিলেঢালা, গা-ছাড়া ভাব ছিল অনেকের মধ্যে। এর
পাশাপাশি, নির্বাচনের সকালে কুয়েত-মৈত্রী হলের ব্যালট উদ্ধারের ঘটনা
ছাত্রলীগকে ঘায়েল করেছে। এ ঘটনা পুঁজি করেছে প্রতিপক্ষরা।
ছাত্রলীগ-সংশ্নিষ্ট কেউ কেউ মনে করেন, ছাত্রলীগে প্রার্থিতা নিয়ে
অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ছিল। অনেকেরই ইচ্ছে ছিল নির্বাচন করার। ছাত্রলীগ সূত্র
জানায়, ছাত্রলীগের শীর্ষ চার নেতা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, গোলাম
রাব্বানী, সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসাইন- প্রত্যেকের আলাদা অনুসারী
রয়েছে। হলে অথবা ক্যাম্পাসে তারা এই চার নেতার নামে আলাদা ভাগ হয়ে থাকেন।
যে কোনো কর্মসূচিতে যাওয়া থেকে শুরু করে সব কার্যক্রমে ছাত্রলীগের বিভিন্ন
হল ইউনিটের নেতাকর্মীরা হলের নামে উচ্চ স্বরে স্লোগান দিয়ে এই চার নেতার
দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের এ রকম
আলাদা গ্রুপিংয়ের কারণে ফলাফলে এমন প্রভাব পড়েছে বলে দাবি করেন তারা। ভোট
প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক ছাত্রলীগ কর্মীর ভোটই নুরুল হক নুর পেয়েছেন বলে মনে
করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সূর্য সেন হল সংসদের নবনির্বাচিত জিএস ছাত্রলীগ নেতা সিয়াম রহমান
সমকালকে বলেন, নুর ভিপি পদে জিতেছে মূলত বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে পুঁজি করে। মিডিয়া কাভারেজের মাধ্যমে সিমপ্যাথি জাগ্রত
করে ছাত্রী হলের ভোটে তিনি এগিয়ে গেছেন। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল
বিষয়ে এই ছাত্রনেতা বলেন, ছাত্রলীগে কোনো কোন্দল বা গ্রুপিং নেই।
প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মনোনীত
প্রার্থীদের পক্ষে সবাই তাই একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।
ইতিহাস :বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যতগুলো ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে,
তার একটিতেও সরকারপন্থি ছাত্র সংগঠন শীর্ষ পদসহ পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করতে
পারেনি। ১৯৭০ সালের ডাকসু নির্বাচনের পর দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকা
অবস্থায় ছাত্রলীগের কোনো নেতা ডাকসু নির্বাচনে জয় পাননি। এবারই ডাকসুর
শীর্ষ পদের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেছে।
নতুন ভিপি নুর ছাত্রলীগের রাজনীতিই ধারণ করেন :নবনির্বাচিত ডাকসু ভিপি
নুরুল হক নুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩-১৪ সেশনে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন।
বর্তমানে তিনি মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি বিতর্ক, আবৃত্তি,
অভিনয়, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে রক্তদান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন
সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। তিনি আইটি
সোসাইটি, মুহসীন হল অ্যাসোসিয়েশন অব ইংলিশ লার্নার্সের এইএল সহসভাপতি,
মুহসীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন। সর্বশেষ কোটা
সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক তিনি। এ ছাড়া তিনি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল
শাখা ছাত্রলীগের উপমানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন।
নির্বাচিতরা কে কত ভোট পেলেন :নির্বাচিত হওয়া ডাকসুর অন্য প্রার্থীদের
মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে সাদ বিন কাদের
পেয়েছেন ১২ হাজার ১৮৭ ভোট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আরিফ ইবনে আলী ৯
হাজার ১৫৪, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার ৮ হাজার ৫২৪,
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে শাহরিমা তানজিন অর্ণি ১০ হাজার ৬০৪, সাহিত্য
সম্পাদক পদে মাজহারুল কবির শয়ন ১০ হাজার ৭০০, সংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আসিফ
তালুকদার ১০ হাজার ৭৯৯, ক্রীড়া সম্পাদক পদে শাকিল আহমেদ তানভীর ৯ হাজার ৪৭,
ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে শামস-ই-নোমান ১২ হাজার ১৬৩, সমাজসেবা সম্পাদক
পদে আখতার হোসেন (কোটা আন্দোলনের প্যানেল) ৯ হাজার ১৯০ ভোট পেয়েছেন।
এ ছাড়া সদস্যপদে যোশীয় সাংমা চিবল ১২ হাজার ৮৬৮, রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য ১১
হাজার ২৩২, তানভীর হাসান সৈকত ১০ হাজার ৮০৫, তিলোত্তমা শিকদার ১০ হাজার
৪৬৬, নিপু ইসলাম তন্বী ১০ হাজার ৩৯৩, রাইসা নাসের ৯ হাজার ৭৬৮, সাবরিনা ইতি
৯ হাজার ৪৫০, রাকিবুল হাসান রাকিব ৮ হাজার ৬৭৩, নজরুল ইসলাম ৮ হাজার ৫০৯,
ফরিদা পারভীন ৮ হাজার ৪৬৯, মাহমুদুল হাসান, ৭ হাজার ৯৭৮, সাইফুল ইসলাম
রাসেল ৭ হাজার ৮১২ এবং রফিকুল ইসলাম সবুজ ৬ হাজার ৫১৭টি ভোট পেয়েছেন।
- বিষয় :
- ডাকসু নির্বাচন