ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

আবার ভোটের দাবিতে ৬ শিক্ষার্থীর অনশন চলছে

আবার ভোটের দাবিতে ৬ শিক্ষার্থীর অনশন চলছে

 বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯ | ০৬:৪৮ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ | ০৭:৪০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে 'প্রহসনের নির্বাচন' আখ্যা দিয়ে নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবিতে ছয় শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চার শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন। বুধবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আরও দুইজন যোগ দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ এসে তাদের আশ্বস্ত না করলে তারা অনশন থেকে সরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

অনশনে বসা ছয় শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাওহীদ তানজিম, দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনিন্দ্য মণ্ডল, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাঈন উদ্দিন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়েব মাহমুদ, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রনি হোসেন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিয়া তামান্না। এর মধ্যে তাওহীদ তানজিম ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। শোয়েব মাহমুদ, অনিন্দ্য মণ্ডল ও মাইন উদ্দিন হল সংসদের বিভিন্ন পদে প্রার্থী ছিলেন।

অনশনকারী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, প্রথমে আমরা চার জন অনশন শুরু করলেওপরে দুজন সাধারণ শিক্ষার্থী এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত  অনশন চলবে।

তারা বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, কলঙ্কিত হয়েছে। নির্বাচনের দিন যেভাবে ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক চেতনার বিরোধী। তাই তারা ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নতুন করে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন।

অনশনরত তাওহীদ তানজিম বলেন, চেয়েছিলাম যেন সুষ্ঠু একটি ভোট হয়। কিন্তু এই নির্বাচনে হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারেননি। শহীদুল্লাহ হলে ভোটের লাইন দখল নিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা লুডু খেলেছে। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম, হয়তো তাদের মতো শক্তিমত্তা নেই। তাই দুর্বল প্রার্থী হিসেবে আমাকে টিজ করেছে, হয়রানি করেছে। পুরো বিষয়টি আমাকে প্রচণ্ডভাবে আহত করেছে। আমি কান্না পর্যন্ত করেছি। কোনোভাবেই মানতে পারিনি, এতদিন পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন শেষ পর্যন্ত এরকম একটি প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত হবে।

তানজিমের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাকি ছয় প্রার্থীও বলেন, তারা নতুন করে ডাকসু নির্বাচনের জন্য পুনঃতফসিল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন

×