ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

'ঢাবি নিয়ে কবিগুরুর বিরোধিতার কথা মিথ্যাচার'

'ঢাবি নিয়ে কবিগুরুর বিরোধিতার কথা মিথ্যাচার'

কবিগুরুর ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাবির বিশেষ বক্তৃতা অনুষ্ঠানে কথা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মে ২০১৯ | ১৫:৪৩ | আপডেট: ১২ মে ২০১৯ | ১৫:৪৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরোধিতার কথা একটি মিথ্যাচার বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। রোববার কবিগুরুর ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ বক্তৃতা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার আলোচনায় এ মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এ অধ্যাপক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আয়োজনে অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। সঞ্চালনা করেন ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম নিবিড়, ডাকসুর ছাত্র পরিবহন সম্পাদক শামস-ই-নোমানসহ ডাকসু ও বিভিন্ন হল সংসদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ১৯১২ সালের ২৭ মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বক্তব্য দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করার জন্য- এমন কথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। কথার কথা তো বটেই লিখিতভাবেও আছে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গড়ের মাঠে সভা করার কোনো অনুমতিই দেওয়া হয়নি, সভাও হয়নি। ওইদিন রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে নয়, কলকাতায়ও নয়, শিলাইদহে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকে স্বাভাবিকভাবে দেখেননি কলকাতাকেন্দ্রিক হিন্দু এলিটরা। তারা বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তো একটা আছে কলকাতায়, তাহলে কিসের জন্য ওখানে আরেকটা দরকার, পড়তে চাইলে এখানে এসে পড়ুক।

বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ১৯২১ সালে যদি রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করতেন, তাহলে ১৯২৬ সালে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি আহ্বান করত বক্তৃতা দেওয়ার জন্য? পাঁচ বছরের মধ্যে তা কি আমরা ভুলে যেতাম? পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি এসএম হলে গিয়েছেন। এসএম হল ছাত্র সংসদ তাকে আজীবন সদস্য করে নিয়েছিল।

অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ তারুণ্যের কবি, তিনি সর্বদা তারুণ্যের জয়গান গেয়েছেন। ভারতবর্ষের জ্ঞান, বিজ্ঞান ও শিক্ষা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ সবসময় চর্চা করতেন। তিনি প্রত্যেক ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক তাই প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানে আমরা তাকে স্মরণ করি। রবীন্দ্রনাথের জীবনাদর্শন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব, এই হোক তার জন্মবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার।

আরও পড়ুন

×