আসকের প্রতিবেদন
৯ মাসে ৪৬৭ নারী ধর্ষণ, ৩৯১ জনকে নির্যাতন

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ২৩:৪০ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ২৩:৪০
গত ৯ মাসে দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৬৭ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩২ জনকে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩৯১ জন। এর মধ্যে ২৩৫ নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের জেরে আত্মহত্যা করেছেন ৯৪ জন। এক হাজারের বেশি শিশু হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ২১৭ জন সাংবাদিক হয়রানি ও দমনপীড়নের শিকার হয়েছেন।
বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংগঠনের চেয়ারপারসন আইনজীবী জেড আই খান পান্না প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠান।
আসক বলছে, ১০টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন সংবাদমাধ্যম এবং তাদের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন তিন নারী। ১০৫ নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬২ জন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১৪ জন। যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে ৫১ জনকে; আত্মহত্যা করেছেন ছয়জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫৭ জন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ১৫৭টি শিশু নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ৩১৭টি শিশু; বলাৎকারের শিকার হয়েছে ৪৩ শিশু। দুই শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। একজন ছেলেশিশু বলাৎকারের পর আত্মহত্যা করে। বলাৎকারের চেষ্টা করা হয়েছে ছয় শিশুকে। এ ছাড়া আত্মহত্যা করেছে ৬৪টি শিশু। বিভিন্ন সময়ে ১১৮ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে পাঁচ শিশুর। এ ছাড়া অপহরণের পর হত্যা করা হয় ১৫ শিশুকে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৯ মাসে ২১৭ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। একজনকে হত্যা করা হয়েছে। জাতীয় দৈনিকগুলোর তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে আসকের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আটজন নিহত হয়েছেন। সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাতজনকে অপহরণ করেছে বলে পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন। পরবর্তী সময়ে ছয়জনকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই সময়কালে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৭৭ জন। এর মধ্যে কয়েদি ৩৫ জন ও হাজতি ৪২ জন।