সদ্য শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন নিয়ে আগামী ২৮ জানুয়ারি সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই দিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. আলমগীর এ কথা জানান।

তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৩, ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষিত হওয়ায় ভোটের আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিক আলোচনায় এসএসসি পরীক্ষা কখন হবে, বিভিন্ন ইসলামী পর্ব, স্বাধীনতা দিবস, মুজিববর্ষ মাথায় রেখে আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ২৮ জানুয়ারি কমিশন সভা হবে, সেখানে এসব উপনির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়েও সেদিন সিদ্ধান্ত হবে।

গাইবাবান্ধা-৩ আসন গত ২৭ ডিসেম্বর, ঢাকা-১০ আসন ২৯ ডিসেম্বর, বাগেরহাট-৪ আসন ১০ জানুয়ারি, বগুড়া-১ আসন ১৮ জানুয়ারি আর ২১ জানুয়ারি যশোর-৬ আসনটি শূন্য হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী গাইবান্ধা-৩ আসনে আগামী ২৫ মার্চ, ঢাকা-১০ আসনে ২৭ মার্চ, বাগেরহাট-৪ আসনে ৮ এপ্রিল, বগুড়া-১ আসনে ১৬ এপ্রিল আর যশোর-৬ আসনে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে ভোট গ্রহণ করতে হবে।

আরপিও বাংলায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত ইসির : এদিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয়ে সচিব বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ যেটা আছে সেটা ইংরেজিতে। এটিকে বাংলায় করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি এটা দেখেশুনে চূড়ান্ত করেছে। কমিশন তা অনুমোদন দিয়েছে। আমরা ইসি সচিবালয় থেকে এটিকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব বাংলায় আইন করার জন্য।

ভোটার তালিকা নিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের জানুয়ারির ৩১ তারিখ ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এবার কাজের চাপ বেশি থাকায় এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট থাকায় ভোটার তালিকা চূাড়ান্ত করা যাচ্ছে না। এ জন্য একটি আইন আমরা প্রস্তাব করেছি, যেটি এখন সংসদে আছে। দু-একদিনের মধ্যে এটি বিল আকারে সংসদে উপস্থাপিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।