পাবনা শহরের ভেতর দিয়ে প্রবহমান ইছামতী নদী অবৈধভাবে দখল করে দূষণ সৃষ্টিকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। ৯০ দিনের মধ্যে তালিকা তৈরি করে তা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এই আদেশ দেন।

রুলে ইছামতী নদীকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন কেন ঘোষণা করা হবে না এবং সিএস জরিপ/পর্চা অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ, দূষণ ও দখলমুক্ত করে দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানিসম্পদ সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ইছামতী দখল, দূষণ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৫ জানুয়ারি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে পরিবেশবাদী আইনজীবীদের সংগঠন বেলা। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। তাকে সহযোগিতা করেন সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

আদেশের পর সাঈদ আহমেদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, পাবনা জেলায় প্রবাহিত ইছামতী নদী এক সময় সচল ছিল। পাবনাবাসীর জন্য এটি ছিল আশীর্বাদ। বর্জ্য ও দূষণে বর্তমানে নদীটি মৃতপ্রায়। নদী দখল ও বাঁধ দেওয়ায় নদীর মধ্যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।