- বাংলাদেশ
- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দুর্নীতির সহায়ক: টিআইবি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দুর্নীতির সহায়ক: টিআইবি

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহে অনুমতির বাধ্যবাধকতা-সংক্রান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে দুর্নীতির সহায়ক বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে অবিলম্বে ওই নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা, জরিপ ও অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তথ্য বা সংবাদ সংগ্রহে অনুমতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমান সময়ে অচিন্তনীয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের ঔপনিবেশিক মানসিকতা। এর মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতে সরকার ঘোষিত ও আইনগতভাবে প্রতিষ্ঠিত নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সম্মতি গ্রহণের যে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে, তা যেমন স্বাস্থ্য খাতে সব রকমের গবেষণা ও তথ্য প্রকাশের দ্বার রুদ্ধ করবে, তেমনি এই খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদের আত্মসাৎ এবং অপচয়ের সুরক্ষা দেবে।
'সরকারি হাসপাতালের দর্শনার্থী ব্যবস্থাপনা' শিরোনামের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, 'রোগীর নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মতো অপরিহার্য বিষয়গুলো যথানিয়মে পালিত হবে, এটা আমাদের সবার কাম্য। কিন্তু তা করতে গিয়ে হাসপাতালের সেবার মান-সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণার জরিপ বা অন্য উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহের ওপর বাধা-নিষেধ আরোপ এবং অনুমতি ছাড়া হাসপাতালের ভেতরে রোগী বা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের স্থিরচিত্র বা ভিডিও ধারণের নিষেধাজ্ঞার মতো নির্দেশনা অবিবেচনাপ্রসূত।'
মন্তব্য করুন