স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান সেখ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুসকে তলব করেছে দুদক। তলব করা হয়েছে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ আসনের এমপি আলহাজ শামসুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএ) এজাজ চৌধুরীকেও।

দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আরও কয়েকজন এপিএসের নামও রয়েছে দুদকের তালিকায়। পর্যায়ক্রমে তাদেরও ডাকা হবে। এর আগেও দুদক কতিপয় এপিএসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে মামলা করেছে।

দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএস আরিফুরকে আগামী ২০ জানুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুদক উপপরিচালক মো. সামছুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে তলব করা হয়েছে। চিঠিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়, বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অর্থ লোপাট ও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পছন্দের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে যন্ত্রপাতি ও মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহে কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে তার হাত রয়েছে। এ কাজ করে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে আরিফুরের বিরুদ্ধে।

ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে আগামী ২১ জানুয়ারি। ক্যাসিনোকা ও মেগা দুর্নীতি অনুসন্ধান টিমের নেতা দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ঠিকাদার জি কে শামীমসহ অন্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য তার বক্তব্য জানা একান্ত প্রয়োজন।

আগামী ২১ জানুয়ারি এমপি শামসুল হকের পিএ এজাজ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। মেয়রের এপিএসের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো তার বিরুদ্ধেও তোলা হয়েছে এ চিঠিতে। বলা হয়েছে, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য তার বক্তব্য শোনা প্রয়োজন।

এদিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে আগামী ২০ জানুয়ারি। তার বিরুদ্ধেও ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও বেআইনি ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে কোটি টাকা অর্জন ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।