মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আরও একটি সুবিধা চালু করলো সরকার। এখন থেকে যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহূত গাড়ির ফিটনেস সনদের জন্য কোনো ফি নেবে না বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ(বিআরটিএ)। সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে বিআরটিএ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাদের নিজস্ব মালিকানার গাড়ির ফিটনেস সনদের জন্য কোনো ধরনের ফিস দিতে হবে না। এমনকি তাদের নিজস্ব মালিকানার না হলেও শুধুমাত্র তাদের প্রয়োজনে কোনো গাড়ি ব্যবহূত হলে সেই গাড়ির ফিটনেস সনদেও ফি লাগবে না। এ সুবিধা পেতে ফিটনেস সনদ ইস্যু বা নবায়নের সময় মুক্তিযোদ্ধার সনদের অনুলিপিটি বিআরটিএর পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে।

বর্তমানে ভারী মোটরযানের ফিটনেস বাবদ বিআরটিএ ৯০০ টাকা ফি নেয়। আর অন্যান্য মোটরযানের ফিটনেস ফি হচ্ছে ৪৫০ টাকা। ফিটনেস পরিদর্শন ফি ৪৫০ টাকা। নবায়ন ফিও একই। প্রতি বছরই গাড়ির ফিটনেট নবায়ন করতে হয়। আগে থেকেই সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে মাসিক নগদ ভাতা দিয়ে আসছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে রেশন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ২২টি সুবিধা ভোগ করেন। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাভাতা, বিবাহভাতা, সরকারি হাসপাতালের খরচ, বিদেশে চিকিৎসা খরচ দেওয়া হয়। এছাড়া বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ সব রুটে বছরে একবার ও আন্তর্জাতিক রুটে বছরে দুইবার বিনা ভাড়ায় যাতায়াতের সুবিধা পান তারা।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সরবরাহ করা হয় মন্ত্রণালয় থেকে। হুইলচেয়ারে চলাচলকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বছরে একবার ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা, একটি মোবাইল এবং সর্বোচ্চ ১৯০০ টাকা পর্যন্ত মোবাইল বিল দেওয়া হয়। এছাড়াও পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সড়ক ও মহাসড়কের টোল মওকুফ, ফেরিতে বিনা ভাড়ায় পারাপার, পর্যটন করপোরেশনের হোটেলে স্বপরিবারে দুই রাত এবং তিন দিন, ডাক বাংলোতে দুই দিন অবস্থানের সুবিধা দেওয়া হয়।

সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসকারী মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের প্রতি সদস্য দৈনিক ১২৫ লিটার পানির বিল মওকুফ সুবিধা পান। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিজস্ব বাড়ির ১৫০০ বর্গফুট পর্যন্ত হোল্ডিং ট্যাপ, দুই বার্নার গ্যাসের বিল, ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল মওকুফ সুবিধা পান।