করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশের কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। 

রাজধানীর আশকোনার হজক্যাম্পে থাকা চীনফেরত বাংলাদেশি নাগরিকেরা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। 

সোমবার দুপুরে মহাখালীর আইইডিসিআরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদি সেব্রিনা বলেন, চীন থেকে ফেরত কারও মধ্যেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, সোমবার রাতে চীন ফেরত এক বাংলাদেশিকে হজ ক্যাম্প থেকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথাব্যথা ও কাশি আছে। তবে জ্বর নেই। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

গত ২১ জানুয়ারি থেকে চীন থেকে আসা ৬ হাজার ৭৮৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

প্রাণঘাতী নভেলা করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা পাঁচশোর কাছাকাছি পৌঁছেছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯০ জন। 

চায়নার জাতীয় হেলথ কমিশন জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে মৃত ৪৯০ জনের মধ্যে মঙ্গলবার একদিনেই মারা গেছেন ৬৫ জন। 

বুধবার নতুন করে তিন হাজার ৮৮৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৩২৪ জন। এর মধ্যে উহানেই আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৩৫১ জন।

বাংলাদেশে অবশ্য এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ শনাক্ত হয়নি। তবে ঝুঁকি আছে বলে মনে করছেন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। করোনাভাইরাস সতর্কতামূলক বার্তায় আইইডিসিআর বলছে, ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে চোখ, মুখ, নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি হলে শিষ্টাচার পদ্ধতি মেনে চলা, অসুস্থ পশু-পাখির সংস্পর্শে না আসা, মাছ-মাংস রান্নায় সতর্ক থাকা, ঘরের বাইরে বের হলে নাক-মুখ ঢেকে বের হওয়া এবং জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত চীন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে।