- বাংলাদেশ
- দুই মাসে ভাইরাস পরিস্থিতি ঠিক না হলে পদ্মাসেতুতে প্রভাব পড়বে: সেতুমন্ত্রী
দুই মাসে ভাইরাস পরিস্থিতি ঠিক না হলে পদ্মাসেতুতে প্রভাব পড়বে: সেতুমন্ত্রী

ওবায়দুল কাদের -ফাইল ছবি
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি (চীনের) করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবসান হয়, তাহলে পদ্মাসেতুর কাজে কোনো অসুবিধা হবে না। আমাদের কাজ চলতে থাকবে। যদি না এর মধ্যে ছুটি আরো প্রলম্বিত হয়, তাহলে কিছুটা প্রভাব পড়বে। চীনের নববর্ষ উপলক্ষে ছুটিতে গেছেন। সেটা প্রলম্বিত না হলে আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্মাসেতুর কাজে অগ্রগতিতে কোনো সংকট হবে না।’
বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরপ্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নাগরিক সেবা বিষয়ক সভা শেষে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মাসেতুতে মোট চীনা নাগরিক কাজ করেন ৯৮০ জন। এরমধ্যে নববর্ষ উপলক্ষে চীনে গেছেন ৩৩২ জন। তাদের মধ্যে ফিরে এসেছেন ৩৩ জন। বাকীদের ছুটি প্রলম্বিত না হলে আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতিতে কোনো সংকট হবে না। আমাদের স্প্যানতো বসছে। ২৩টি বসেছে ২৪ নম্বরটা বসবে আগামী ১০ তারিখে। জুলাইয়ের মধ্যে সব কয়টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কাজেই তাদের অনুপস্থিতি তেমন কোনো সমস্যা হবে না। সমস্যা হলে আড়াই তিন মাস পরে হতে পারে।
উড়াল সেতুর অগ্রগতি নিয়ে কাদের বলেন, এখানে ফান্ড সমস্যা এখন আর নেই। প্রথম ফেজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। এখানে চায়নিজ আছেন ২০ জন, ছুটিতে আছেন ১৮ জন এবং মোট কর্মরত ৩৮ জন। এখানে আপডেট হচ্ছে ছুটিতে থাকা চায়নিজদের জন্য কোনো অসুবিধা হচ্ছে না বা হবে না। বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে ৭২ জন চীনার মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। এখানে সেতু বিভাগের অংশে অগ্রগতি ২০ শতাংশ বলে জানান মন্ত্রী।
মেট্রোরেল সার্বিক অগ্রগতি ৪২ শতাংশ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও ৬৮ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে কাজ ৩৬ শতাংশ হয়েছে। এখানে চীনা নাগরিক আছেন ৫৮ জন, চীনে গেছেন ৩১ জন, ফেরত এসেছেন ১ জন। তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এখানে কোনো ইমপ্যাক্ট পড়বে না।
মন্তব্য করুন