জাতীয় বেতন স্কেলের ১১ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের চলমান বৈষম্যের অবসান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আকতার হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে দাবিগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে একজন অফিস সহায়ক পর্যন্ত সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, যারা ২০টি গ্রেডে বিভক্ত। এর মধ্যে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা বরাবরই বৈষম্যের শিকার।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় বেতন স্কেলের অনুরূপ দশম গ্রেডে বেতন কাঠামো নির্ধারণ, স্বেচ্ছায় অবসরের বয়সসীমা ২০ বছর নির্ধারণ, পেনশন আনুতোষিকের হার ১ টাকায় ৩০০ টাকা নির্ধারণ, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে উন্নীতকরণ, চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বিনা ব্যয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান, গ্যাস-বিদ্যুৎ, পানি, সামাজিক ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ মাসিক ১০ হাজার টাকা প্রদান, রাজউকের প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কর্মচারীদের সংখ্যার আনুপাতিক হারে কোটা সংরক্ষণসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত কর্মচারীদের চাকরি গণনা প্রভৃতি। এ ছাড়া টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল, ১৭তম গ্রেডের কর্মচারীদের চতুর্থ শ্রেণির পরিবর্তে তৃতীয় শ্রেণি হিসেবে গণ্য করা; একই সঙ্গে চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য রাজধানীতে কর্মচারী কমপ্লেক্স নির্মাণ করার দাবি জানানো হয়।

এ সময় ফেডারেশনের সভাপতি মো. হেদায়েত হোসেন জানান, তাদের সব দাবি বাস্তবায়নে আগামী ১৩ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কর্মচারী সমাবেশের আয়োজন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা মো. লুৎফর রহমান খান, কার্যকরী সভাপতি শরীফ আবুল খায়ের, সহসভাপতি মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ, মহানগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক বাহার উদ্দিন, সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের সভাপতি মো. মিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।