- বাংলাদেশ
- বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডিসহ ৭ জনকে ধরতে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডিসহ ৭ জনকে ধরতে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ

অর্থ পাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ সাত পলাতক আসামিকে ধরতে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
অপর পাঁচ আসামি হলেন- বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক ও খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এবং নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান এস এম আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। অন্যদিকে, আসামি এসএম সোয়েব উল কবিরের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, অর্থ পাচারের এ মামলার আসামি জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা এসএম শোয়েব-উল-কবীর সম্প্রতি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট নথিপত্রের ভিত্তিতে পলাতক সাত আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রেল অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডিসহ সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তদন্ত শেষে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০১৬ সালে আসামিদের বিচার শুরু হয়। বিচারের সময় সব আসামি পলাতক ছিল।
আলোচিত এ মামলায় ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০। রায়ে খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ নয়জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। তাদের মধ্যে সাতজন বর্তমানে পলাতক। রায়ের পর জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান এবং এসএম শোয়েব-উল-কবীর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিচারিক আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন।
মন্তব্য করুন