ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্যসব খাতে ব্যাংক ঋণে সুদহার ৯ শতাংশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই সুদহার কার্যকরের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এ সার্কুলার স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

রোববার হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট শাখায় মাহফুজুর রহমান নামে আইনের এক ছাত্রের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ স্যায়েদুল হক সুমন রিটটি দায়ের করেন। পরে রিটটি বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। 

সোমবার ওই বেঞ্চের কার্যতালিকায় এলে রিটের শুনানি হতে পারে। রিটে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার স্যায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার দিয়ে বলেছে, ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না। তবে এর আগে মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল, ব্যাংকগুলো ৯ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না এবং আমানতকারীদের ৬ শতাংশের বেশি সুদ দেওয়া হবে না। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আমানতকারীদের বিষয়ে এখন কিছুই বলা নেই। অন্যদিকে আমানতে সুদের হার ৬ শতাংশের কারণে দুই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর একটি বিষয় হচ্ছে, ওই সার্কুলারে শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কথা আছে। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলা নেই। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠান চাইলে যা ইচ্ছা সুদ নিতে পারবে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা ৯ শতাংশ সুদের সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। পরে এটি সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সার্কুলার অনুযায়ী চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত সুদে ঋণ বিতরণ শুরু হবে। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অশ্রেণিকৃত ঋণ-বিনিয়োগের ওপর সুদ-মুনাফা হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। বর্তমানে ব্যাংক ভেদে উৎপাদন খাতে সুদহার ১১ থেকে ১৪ শতাংশ। ভোক্তা ও এসএমই ঋণের সুদহার আরও বেশি।