সংক্রামক ব্যাধি করোনাভাইরাস আক্রান্তের তালিকায় বাংলাদেশও যুক্ত হলো। দেশে তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে দু'জন বিদেশফেরত। আর তাদের মাধ্যমে পরিবারের অন্য এক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সংস্পর্শে থাকা আরও তিনজন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এটি নিঃসন্দেহে উদ্বেগের খবর। চীনে এই ভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই বাংলাদেশেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল। আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর উদ্বেগ আরও বাড়বে। কিন্তু এটি নিয়ে আকঙ্কিত কিংবা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। একটু সচেতন হলেই অনেকটা নিরাপদ থাকা যাবে। অতীতে সোয়াইন ফ্লুসহ বিভিন্ন ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ সফল হয়েছে। সুতরাং করোনাভাইরাস  মোকাবিলায়ও সফল হবে- এটি প্রত্যাশা করি।

তবে এ জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। জীবনযাত্রায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। এই রোগ মূলত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। আমরা সাধারণত কোনো জায়গায় হাত রেখে সেই হাত আবার মুখে দিয়ে থাকি। দেখা গেল, সেখানে হাঁচি-কাশি আগে থেকে পড়ে ছিল। সেখানে হাত রেখে সেই হাত মুখে দিলে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং এটি এড়িয়ে চলতে হবে।

আক্রান্ত কাউকে পাওয়া গেলে প্রথমেই তাকে নূ্যনতম ১৪ দিন আলাদা করে রাখতে হবে, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের সংস্পর্শে না যেতে পারে। একই সঙ্গে যারা আক্রান্ত হয়নি, তাদের চলাফেরায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এজন্য ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার ও গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে। প্রচুর ফলের রস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, ঘরে ফিরে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

কিছু খাওয়া কিংবা রান্নার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। ডিম কিংবা মাংস রান্না করার আগে ভালোভাবে সিদ্ধ করা, ময়লা কাপড় দ্রুত ধুয়ে ফেলা, নিয়মিত ঘর এবং কাজের জায়গা পরিস্কার রাখা এবং অপ্রয়োজনে ঘরের দরজা-জানালা খুলে রাখা যাবে না। জনসমাগম এড়িয়ে চলবেন। তাহলেই অনেকটা নিরাপদ থাকা যাবে এবং রোগটিও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

লেখক :উপদেষ্টা, আইসিডিডিআর,বি