অস্ত্র আইন ও অর্থ পাচারের দুই মামলায় কারাগারে থাকা আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের চার দেহরক্ষীর জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধ চাঁদা দাবি, মাদক ও জুয়ার অভিযোগের তদন্ত চার মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চার দেহরক্ষী হলেন- মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন ও সামসাদ হোসেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম সরদার। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। 

জি কে শামীমের চার দেহরক্ষী গত ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে ওই চার আসামিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর ৩ মার্চ হাইকোর্ট জি কে শামীমের চার দেহরক্ষী কীভাবে, কোন যোগ্যতায় অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন তা জানতে চান। পাশাপাশি তাদের আয়কর রিটার্ন ও অস্ত্র মামলা কেন হয়েছে, সে বিষয়েও হলফনামা দাখিল করতে তাদের আইনজীবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এসব তথ্য-সংক্রান্ত হলফনামা দাখিল হওয়ার পর মঙ্গলবার শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।