বহুল আলোচিত নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে শেয়ার দেওয়ার অভিযোগে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রতিবেদক আল আমিনসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২ মার্চ ট্যাবলয়েট পত্রিকা মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর নির্দেশে আল আমিন নামে একজন রিপোর্টারের 'পাপিয়ার মুখে আমলা, এমপি, ব্যবসায়ীসহ ৩০ জনের নাম' শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে ঠাকুরগাঁও জেলার একজন, দিনাজপুরের একজন, নীলফামারীর একজন, রংপুরের একজন, কুষ্টিয়ার একজন ও মাগুরার একজন... এভাবে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সংসদ সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

বাদী বলেন, ওই সংবাদ প্রকাশের পর তিনি লক্ষ্য করেছেন, আসামি শফিকুল ইসলাম কাজল, প্রিন্স ফাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ফরহাদ খান, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মদ মোসলেম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোর্সেদ আলম, কাকন আবু হানিফ, আয়েশা আক্তার, মোহাম্মদ শামিম আক্তার, সাত্তার মৃধা, মো. তৌফিক, মিলি হাসান, হাবিব আদনান, ঋষি কান্তি, সোহেল হোসেন, ছালে আহমেদ, জসিম উদ্দিন জসিম, খাইরুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম কিরণ, মাহফুজ আহমেদ, মো. হেলাল, সেলিম চৌধুরী, ইস্পাত মোহাম্মদ, বেলায়েত হোসেন, মারুফ রাজু ও মকটেল হোসেন মুক্তিসহ আরও অনেকে তাদের ফেসবুকে হোটেল ওয়েস্টিনে যাতায়াতকারী পাপিয়ার খদ্দেরদের আংশিক তালিকা হয়েছে, এর বাইরে মন্ত্রী, এমপি, আমলা ও ব্যবসায়ীদের আরও তালিকা আসছে বলে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেন।

এমপি সাইফুজ্জামান এজাহারে বলেন, তিনি মনে করেন মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গসহ ষড়যন্ত্রকারীরা পারস্পরিক যোগসাজশে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করে তাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করে হীন স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করছে। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি সমকালকে বলেন, এজাহারে মতিউর রহমান চৌধুরী ও আল আমিন ছাড়া অন্য ৩০ আসামির ফেসবুক লিঙ্ক উল্লেখ করা রয়েছে। ওই লিঙ্ক ধরে সাইবার পুলিশ সংশ্নিষ্ট আসামিদের চিহ্নিত করার কাজ করছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি।